রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : ইয়াশরাজ ফিল্মসের সিনেমা ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ দিয়ে ২০১০ সালে বলিউডে পা রাখেন রণবীর সিং। এরপর তাকে ইন্ডাস্ট্রির পরবর্তী সুপারস্টার ভাবা হচ্ছিল, অন্তত কিছু সাফল্য তাকে সপ্তম আকাশে তুলে দিয়েছিল।
বলিউড হাঙ্গামা জানাচ্ছে, সাম্প্রতিক তিনটি ফ্লপ সিনেমার পর এই নায়ককে নিয়ে আর আগ্রহী নন ইয়াশরাজ ফিল্মসের প্রধান আদিত্য চোপড়া।
করোনা পরবর্তী সময়ে ৮৩, জয়েশভাই জোরদার ও সার্কাসের মতো বিগ বাজটের ফ্লপ সিনেমার নায়ক রণবীর সিং। এর মধ্যে দ্বিতীয় সিনেমাটি ইয়াশরাজ ফিল্মসের।
আদিত্য চোপড়া বর্তমান স্পাই ইউনিভার্সে প্রচুর বিনিয়োগ করছেন। যার আওতায় শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ ব্লকবাস্টারের মর্যাদা পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সালমান খানের ‘টাইগার থ্রি’। দুই খানসহ ঋত্বিক রোশনকে নিয়ে স্পাই ইউনিভার্স এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা আদিত্যের। প্রতিটি সিনেমায় যুক্ত হবেন বড় তারকারা। সব মিলিয়ে বড় বাজেটের হওয়ায় প্রস্তুতির জন্য একাগ্রতা প্রয়োজন।
এমন পরিস্থিতিতে রণবীর সিং থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ইয়াশরাজ ফিল্মস। তবে এই নয় যে নন-স্পাই ইউনিভার্স চলচ্চিত্রও তৈরি করবে না তারা।
এই প্রডাকশন হাউজের সঙ্গে রণবীর মোট ৬টি ছবি করেছেন। যার মধ্যে গুন্ডে (২০১৪) সেমি হিট হয়েছিল। ব্যান্ড বাজা বারাত, লেডিস বনাম রিকি বাহল (২০১১) ও বেফিকরে (২০১৬) ছিল গড় আয়ের। কিল দিল (২০১৪) ও জয়েশভাই জোরদার (২০২২) ছিল ফ্লপ। তবে এই সিনেমাগুলো ওটিটি ও স্যাটেলাইট রাইটস বিক্রি থেকে ভালোই আয় করেছে।
সিনে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রণবীর সিং শুধু সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে ধারাবাহিক হিট উপহার দিয়েছেন- গোলিওঁ কি রাসলীলা রাম-লীলা (২০১৩), বাজিরাও মাস্তানি (২০১৫) ও পদ্মাবত (২০১৮)। এর বাইরে সিম্বা (২০১৮) ও গালি বয় (২০১৯) বাদ দিলে তার সামগ্রিক বক্স অফিস রেকর্ড বিবর্ণ।
গত নভেম্বরে ইয়াশরাজ ফিল্মস ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি থেকে সরে আসেন রণবীর সিং। ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট ফি থেকে কমিশন কমাতে বললে রাজি হয়নি প্রতিষ্ঠানটি। বাধ্য হয়ে ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট ছাড়েন রণবীর সিং। এখন সিনেমা থেকেও সরতে হচ্ছে।
তবে সূত্র বলছে, রণবীর সিং থেকে বিরতি নেয়ার সিদ্ধান্ত সাময়িক। সঠিক চিত্রনাট্য ও যথাযথ বাজেটের ভিত্তিতে অভিনেতাকে আবার ডাকবেন আদিত্য চোপড়া।