1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বাংলাদেশে কমছে বিদেশি ঋণের পরিমাণ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৮৭ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে কমছে বিদেশি ঋণের পরিমাণ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক শেষে বাংলাদেশের বকেয়া বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৬৫৪ কোটি ডলার। আগের ত্রৈমাসিক অর্থাৎ জুন মাস শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৮ দশমিক ১০ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৮১০ কোটি ডলার। 

জুন মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন বা ১৫৫ কোটি ডলার কমেছে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেরই।বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।সেপ্টেম্বর মাস শেষে বাংলাদেশ সরকারের বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ৫২৬ কোটি ডলার। জুন মাস শেষে যা ছিল ৭৫ দশমিক ৮৫ বা ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকারের সরাসরি নেওয়া ঋণের পরিমাণ বাড়লেও সরকারি করপোরেশনগুলোর ঋণের পরিমাণ কমেছে। সেপ্টেম্বর শেষে সরকারের সরাসরি নেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ১৮ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৪১৮ কোটি ডলার। জুন মাস শেষে যা ছিল ৬৩ দশমিক ৭২ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৩৭২ কোটি ডলার। 

সেপ্টেম্বরে সরকারি করপোরেশনগুলোর বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১০৮ কোটি ডলার। জুন মাস শেষ যা ছিল ১২ দশমিক ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২১২ কোটি ডলার। আর বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। জুন মাস শেষে যা ছিল ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বিদেশি সহায়তা ছাড় বেশ খানিকটা কমেছে। ইআরডি সূত্র অনুযায়ি, জুলাই-অক্টোবর সময়ে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ কোটি ডলার কম ছাড় করেছে উন্নয়ন সহযোগীরা। এ সময়ে ১৬২ কোটি ডলার ছাড় হয়েছে। গতবার একই সময়ে ১৯৭ কোটি ডলার ছাড় হয়েছিল। যদিও এ সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে।এছাড়া বিদেশি ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়া এবং ডলারের বিনিময়হার অস্থিতিশীল হয়ে যাওয়ার কারণে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট মানুষেরা। বিদেশি ঋণের সুদহার বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এখন ৭ শতাংশ। অথচ যখন দেশের ব্যাংকঋণের সুদহার ১৬-১৭ শতাংশ বা পরবর্তী সময়ে ৯ শতাংশ ছিল, তখন বিদেশি ঋণের সুদহার ছিল দেড় থেকে তিন শতাংশের মধ্যে। ফলে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা তখন বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তা কমতে শুরু করেছে। 

এছাড়া দেড় বছর আগে ডলারের বিনিময়হার ছিল ৮৫ টাকা, এখন সেই ঋণ পরিশোধ করার সময় ডলারের বিনিময়হার দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকা। সেই সঙ্গে ডলারের বাজারে এখনো অস্থিরতা থাকায় ভবিষ্যতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে এই আশঙ্কায় বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ কমেছে। 

তথ্যানুসারে, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৫.৭৩ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৫৭৩ কোটি ডলার, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ৯৬.৫২ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। যদিও বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৭১২ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইআরডির তথ্যানুসারে, সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৩২ দশমিক ৮১ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২৮১ কোটি ডলার আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৬৩ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৩৭৩ কোটি ডলার।বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন তথ্যানুসারে, ২০১০ সালের পর ১২ বছরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে আড়াই গুণের বেশি। দেশের ঋণ নিয়ে একধরনের উদ্বেগ তৈরি হলেও সামগ্রিক ঋণ-জিডিপির অনুপাত এখনো ৪০ শতাংশের নিচে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..