1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে হাওর ও নিমাঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শংকায় আধা পাকা বোরো ধান কাটছেন কৃষকরা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৮০ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: হাকালুকি,কাউয়াদিঘি,হাইল ও করাইয়া হাওরসহ ছোট বড় হাওরের নিম্নাঞ্চলে ধান কাটা ও ধুম পড়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও ভালো হওয়ায় এবার ১২শত কোটি টাকা আয়ের হাতচানী দিচ্ছে। মাঠে মাঠে নীরব বিপ্লব ঘটছে বোরো ধান চাষীদের মাজে।এরই মধ্যে ধান সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে তবে কৃষকরা বলছেন ফলন ভালো হলো ধানের বাজার দর নিয়ে তারা হতাশ। তাছাড়া ঝড় বৃষ্টি ঝড় অতি মাত্রায় খরা নিয়েও তারা চিন্তিত। গেল বছর ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ব্যাপকভাবে বোরো আবাদে করেছেন কৃষকরা। সেই সঙ্গে কৃষকরা দাবিও জানাচ্ছেন ধানের ন্যায্য মূল্য ও কৃষি যন্ত্রাংশ সুলভে ব্যবহারের। পাশাপাশি কৃষি বিভাগের অসহযোগীতা রয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। কৃষকরা বৈশাখের প্রচন্ড রোদের তাপদাহ উপেক্ষা করে ধান কাটা মাড়াই ও ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

প্রতিদিন রাতে থেকে থেমে ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি এবং তীরবর্তী মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর,কুলাউড়া,জুড়ী,বড়লেখা, শ্রীমঙ্গলসহ অন্যন্য উপজেলায় সহস্রাধিক হেক্টর জমির বোরো ধান বানের জলে তলিয়ে যাওয়া আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নস্প্রতি শিলা বৃষ্টি ও উৎানের ঢলে চোখের সামনে তলিয়ে যাবে এমন শংকায় আধা পাকা বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। হাওরগুলোতে বৈশাখের প্রথমেই চলছে আধা পাকা ধান কাটার উৎসব। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মাঠে ছুটছেন। সারাদিন সোনালি ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ফসল ঘরে তোলা। ঝড়-বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে সবসময়ই শঙ্কায় থাকতে হয় কৃষকের। যখন ফসল ঘরে তোলা শুরু হয়, সে সময়টাই যেন কৃষকের সবচেয়ে বড় সার্থকতা। এখন চলছে বোরো মৌসুমের ধান কর্তনের সময়। গ্রামাঞ্চলে সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার একমাত্র উপায় কৃষিকাজ। সাম্প্রতিক সময়ে এ পেশায় সরকারের আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিক নির্ভর হয়ে পূর্ব পুরুষের এই ঐতিহ্যবাহী পেশাকে ধরে রেখে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছেন কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারে মৌলভীবাজার জেলার ৭উপজেলায় বোরো ধানের আশাতীত ফলন হঢেছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে মেলভীবাজারে ৬১হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। যেখান থেকে এ বছর ২লাখ ৩২হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে। টাকার অংকে যার বাজারমূল্য ১২শকোটি টাকা।

সরজমিনে একাদিক বর্গা চাষী/শ্রমিকরা দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে জানান- এবার এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন শিলা বৃষ্টি বার পালিতে তলিয়ে যাওয়ার ঘঁনায় বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হওয়ায় স্বস্তিতে কাটলেও গত দুই এক দিনে উংানের ঢল ও শিলা বৃষ্টির হওয়াযর শংকায় আধা পাকা ধান কাটছেন। প্রচন্ড রোদ থাকায় ধান শুকাতেও কোনো রকম বেগ পেতে হচ্ছে না কৃষকদের। হাওরে অন্যান্য ধানের ফলন আশানুরূপ ভালো হলে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানে চিটা দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে  শত শত কৃষকেরা আরো বলেন- বৈশাখের প্রথম দিনে কষ্টের ফলানো সোনালি ধান ঘরে তুলতে পেরে আনন্দিত তারা। এই হাওরকেই ঘিরেই তাদের বৈশাখ। করচার হাওরের এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি এই ধান বিক্রি করে ছেলে মেয়ে নিয়ে বছর পার করতে পারব।’যেভাবে ঝড় বৃষ্টি শুরু সম্বাবনা দেখা দিয়েছে ধান ঘরে তোলা নিয়ে সত্যি খুব দুশ্চিন্তায় হাওরসহ নির্মাঞ্চলের কৃষকেরা। তবে আর কয়টা দিন আবহওয়া ভাল থাকলে ধান পেকে যাবে। তার পর ও বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে বন্যা ও শিলা বৃষ্টিসহ প্রাকিৃতিক দুর্যোগ এর শংকায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে বৈশাখের প্রথমেই কঢ়া পাকা ধান কাটতে মাঠে নেমেছি।

এনিয়ে মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন সরকার,উপ পরিচালক- ভারপ্রাপ্ত ও জেলা প্রশিক্ষন অফিসার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে জানান-দাবদাহ চলমান থাকা অবস্থায় চাষীদের কৃষি পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রাখায় জেলায় কোনো মাঠের ধানের ক্ষতি হয়নি। দুই সপ্তাহ যাবত চাষীরা ধান কাটা শুরু করেছেন এবং বাম্পার ফলন ও হয়েছে। ধান কাটা মাড়াইয়ে সবকটি যন্ত্রসেবা কেন্দ্র সচল করা হয়েছে। বৈশাখ মাসে যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগের শঙ্কা থাকে সেজন্য ধান পাকলেই তা দ্রæত কেটে ফেলতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধান উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশাবাদী। ‘ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের সহযোগিতা ও দূর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বাপ্পার ফলন হলেও শিলা বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং উৎানের পাহাড়ী ঢলে ক্ষয়ক্ষতির দুচিন্তায় কৃষকরা ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..