1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড়লেখায় প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১২০ বার পঠিত

বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখার আহমদপুরে প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ইতি রানী তালুকদার ছোট লেখা গ্রামের বিরেশ তালুদারের মেয়ে। সে বড়লেখা সরকারী কলেজের ছাত্রী ও বড়লেখা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ যুবলীগের সহ সভাপতি অপু তালুকদারের ছোট বোন। নিহত ছাত্রীর পরিবারের দাবী এটা পরিকল্পিত হত্যা। মঙ্গলবার(১৩ ডিসেম্বর) বড়লেখার ছোট লেখা নামক স্থানে রাত আনুমানিক ১০ টায় হত্যা কান্ডটি ঘটেছে বলে থানার অভিযোগে জানা যায়। এব্যাপারে নিহতের ভাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অপু তালুকদার জানান, তার বোন ইতি রানী তালুকদার বড়লেখা সরকারী কলেজে ডিগ্রীর ছাত্রী ছিল। কলেজে আসা যাওয়ার সময় একি এলাকার বনিক দে এর পুত্র বিলাস কান্তি দে নামক এক ছাত্র ভয় ভীতি দেখিয়ে ফুসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এমন কি এক সময় তার বোনকে আটকিয়ে নির্যাতন ও করে। এব্যাপারে বড়লেখা থানায় অভিযোগও করা হয়। পরবর্তীতে তার পরিবারের সকলে ক্ষমা চাওয়ায় ও বোনের মানসম্মান চিন্তা করে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার বোনকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠায় বাড়িতে। বিলাস কান্তি দে অসুস্থ ও বেকার জেনে তাদের পরিবার প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করেন। তিনিও বিলাশ কান্তি দে কে কয়েক বার তার বোনের সাথে ডিস্টার্ব না করতে বারন করেন। এরপরও বিলাস কান্তি দে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করতো এবং তার নিকট ইতি রানীকে বিয়ে না দিলে দেখে নেওয়ার হমকি দিতো। ইতিমধ্যে তার বোনের বিয়ের আলাপও চলছিল। এই খবর শোনে বিলাস কান্তি দে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। মঙ্গলবার ইতি দোকানে বই কিনে গেলে বিলাস কান্তি দে জোরপুর্ক তার বোনকে সি এন জি গাড়ীতে তুলে নেয়। পরে তাকে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে ছোট লেখায় ফেলে যায়। এসময় অপু তালুকদার বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে ঘটনাটি দেখে চিৎকার করলে বিলাস কান্তি দে সি এন জি রেখে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে বড়লেখা থানায় হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এব্যাপারে বিলাস দে এর পিতা বনিক দে বলেন, আমার ছেলের সাথে অপু তালুকদারের বোন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে আমার ছেলে তার মাকে সব বলার পর আমি অপু তালুকদারের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাই। আমরা তাদের চেয়ে গরিব হওয়ার কারনে আমাকে অপমান করে বিদায় করা হয়। এমন কি আমার ছেলেকে ওরা একবার খুব মারধোর করেছে। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। আমার ছেলে বলেছিল, ইতি বলেছে যদি তারা অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তবে সে আত্নহত্যা করবে। তার বিয়ের আলাপ চলছিল তাই হয়তো সে আত্নহত্যা করেছে। এখন আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনর্চাজ ইয়াসোফ হাসান বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে লাশের পোষ্টমডের জন্য পাঠিয়েছি। বড়লেখা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ যুবলীগে এর সহ সভাপতি অপু তালুকদার লাশটি তার বোনের বলে সনাক্ত করেছে। এটি একটি পরিকল্পী হত্যা বলে দাবী করে বিলাস দে আসামী করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের নামে অভিযোগ দিয়েছেন। প্রেমে ব্যর্থ হয় বিলাস দে এই খুন করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছন। পুলিশ এফ আই আর ভূক্ত আসামী গেফতারের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা পোষ্টমডেম রিপোর্ট হাতে পওয়ার পর তদন্ত করে আইনানুগত ব্যবস্থা নেবো।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..