1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৮ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট ::দীর্ঘ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোলার জেলেরা। দীর্ঘদিন পর নদীতে গিয়ে আশানুরূপ মাছ পাবেন, এমনটাই আশা তাদের। এরইমধ্যে মাছ শিকারের সকল উপকরণ প্রস্তুত করেছেন জেলেরা।

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল ও ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি জেলে পল্লীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারের জন্য জাল, নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার প্রায় আড়াই লাখ জেলে। নিষেধাজ্ঞা শেষে দল বেঁধে আবারও নদীতে নামবেন তারা। নদীতে বড় সাইজের ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ শিকার করতে পারবেন বলে আশা তাদের।

ভোলার খাল এলাকার জেলে সাইফুল মাঝি, আব্দুল সোবাহান মাঝি, তাজুল মাঝি ও সালাউদ্দিন মাঝি জানান, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা নদীতে গিয়ে মাছ ধরতে পারিনি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে যাওয়ার জন্য নৌকা, ট্রলার, জালসহ মাছ শিকারের সকল সামগ্রী প্রস্তুত করেছি। জেলেরা দল বেঁধে নদীতে গিয়ে ইলিশ, পোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরবো।

তুলাতুলি এলাকার জসিম মাঝি, কবির মাঝি ও জাকীর মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের আয় রোজগার বন্ধ ছিল। তাই ধার-দেনা করে সংসার পরিচালনা করেছি। তার আগে এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জাল, নৌকা, ট্রলার তৈরি করেছি। সেই ঋণের কিস্তি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিতে না পেরে পালিয়ে বেড়িয়েছি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে বড় সাইজের ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, পোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ শিকার করে বকেয়া কিস্তি ও ধার-দেনা পরিশোধ করবো।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কামাল আজাদ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছেন দাবি করে জানান, নদীতে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে। তাই নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত মাছ পেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। আর সেইসঙ্গে ভোলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

ইলিশের আভয়াশ্রমের কারণে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরণের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা চলছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..