1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:০৫ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড়লেখায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৫০ ঘরে নেই বিদ্যুৎ ও পানি ৫ মাসেও ঘরে উঠেনি ৩৪ পরিবার

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১
  • ৩০৭ বার পঠিত

আব্দুর রব : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৫০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় ৫ মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির ব্যবস্থা না থাকায় নতুন ঘরে উঠেনি ৩৪ পরিবার। ১৬টি হতদরিদ্র পরিবার ঘরগুলোতে উঠেছে। পানি আর বিদ্যুৎ না থাকার দূর্ভোগ নিয়ে কোনোমতে তারা বসবাস করছে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শীঘ্রই ঘরগুলোতে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

উপকারভোগীদের ঘর হস্তান্তরের পরই তৎকালিন বড়লেখা ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির ব্যবস্থা নিতে রেজুলেশনের মাধ্যমে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বরাবরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ (‘ক’ শ্রেণি) পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় বড়লেখার ৫টি ইউনিয়নে ৫০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সদর ইউনিয়নে ১০টি, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে ১৬টি, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নে ৩টি, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে ৩টি এবং দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়। একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরগুলোর চাবি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু মাত্র ১৬টি পরিবার ঘরে উঠেছে। পানি আর বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় বাকি ৩৪ পরিবার ঘলগুলোতে এখনও উঠেনি।

সরেজমিন বড়লেখা সদর ইউনিয়নের সাতকরাকান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, দুইপাশে উঁচু উঁচু টিলা। মাঝখানে নিচু জমিতে (প্রথম পর্যায়ে) দশটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। এরপাশেই আরও (দ্বিতীয় পর্যায়ে) দশটি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে।

সম্প্রতি এখানে একটি ঘর পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে উঠেছেন রফিক উদ্দিন। আলাপকালে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘর দিয়েছেন। এজন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু ঘরে বিদ্যুতের কোনো ব্যবস্থা নেই। পানিরও কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের কষ্ট করে অন্যের বাড়ি থেকে পানি এনে খেতে হচ্ছে। খুব কষ্টে আছি। বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ দেওয়া হয়নি।

রফিক উদ্দিনের মতো এখানে ঘর পেয়েছেন মাতাব উদ্দিনও। তিনি ঘরে স্ত্রী নিয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, দশটি ঘরের মধ্যে তিনটি ঘরে আমরা তিন পরিবার উঠেছি। কিন্তু ঘরগুলো বিদ্যুৎ নেই। এখানে খাবারের পানির ব্যবস্থা নেই। আমাদের এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে পানি এনে পান করতে হচ্ছে। পানি আর বিদ্যুৎ না থাকায় বাকি পরিবার গুলো এখনও ঘরে উঠেনি। আমরা বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু পাইনি।

উপজেলার কাশেমনগর গ্রামের ঘর পাওয়া মনি বেগম, ফাতির আলী, সুলতানা বেগম, আব্দুল বারেক, নাজমা বেগম, আজমল আলী ও সাদ উদ্দিন জানান, এখানে ১৫টি ঘর আছে। এরমধ্যে আমরা সাত পরিবার ঘরে উঠেছি। বাকি পরিবারগুলো উঠেনি। কারণ এখানে পানি নেই। বিদ্যুৎ নেই। আমরা পানি অন্যদের বাড়ি থেকে কষ্ট করে এনে পান করছি। বুধবার মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মেহেদী হাসান সরেজমিনে পরির্দনে আসলে তার কাছে আমাদের সমস্যার কথা বলেছি। পানি আর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিলে আমাদের ভোগান্তি কমবে।

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক এমাজ উদ্দিন সরদার বলেন, ৫০ ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ইউএনও’র কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের ঘরগুলোতে ওয়্যারিং কাজ করার কথা। কিন্তু ওয়্যারিং কাজ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়নি। তবে বুধবার (৭ জুলাই) পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে আমাদের কাছে পত্র এসেছে। ঘরগুলোতে পবিস নিজ খরছে ওয়্যারিংসহ যাবতীয় কাজ করে দেবে। যেসকল ঘর মেইন লাইন থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের, সেগুলোতে দ্রুত সংযোগ দেওয়া হবে। এর বাইরে ঘরগুলোতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুরসরণ করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। মুজিব বর্ষের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের কোনো বাসিন্দাকে বিদ্যুৎহীন রাখা হবে না।

উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) মঈন উদ্দিন জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলোতে গভীর নলকূপ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর শাহবাজরপুর ইউপির ভোগা-চাঁনপুরে নির্মিত ঘরগুলোতে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলছে। মূলত বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় নলকূপ স্থাপন কার্যক্রমে কিছুটা দেরি হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নলকূপ স্থাপন করে উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।

ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। যোগদানের পর প্রথম মাসিক সমন্বয় সভায় ঘরগুলোতে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে ডিজিএমকে চিঠিও দিয়েছি। ডিজিএম জানিয়েছেন, ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হবে। এছাড়া ঘরগুলোতে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রæত তা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। তা সফলভাবে বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..