মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ভারতের প্রতিরক্ষাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। শুধু তিনিই নন, এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাওয়াতের স্ত্রী, প্রতিরক্ষা সহকারী, নিরাপত্তা কমান্ডো, বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাসহ আরও ১২ জন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এক টুইটে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টা ২০ মিনিটে তামিলনাড়ুর কুন্নুরের জঙ্গলে দেশটির প্রতিরক্ষাপ্রধানসহ ১৪ জনকে বহনকারী এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও পৃথক এক টুইটবার্তায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে প্রতিরক্ষাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত সস্ত্রীক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। টুইটে রাজনাথ বলেছেন, তামিলনাড়ুতে আজ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তার স্ত্রী এবং সশস্ত্র বাহিনীর ১১ সদস্যের আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। এর আগে বুধবার দুপুর ২ টার দিকে ভারতের বিমান বাহিনী এক টুইটবার্তায় জানিয়েছিল, তামিলনাড়ুর কুনুর এলাকার গভীর জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়েছে সামরিক চপার হেলিকপ্টার এমআই-১৭ ভি ৫। সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী এবং ভারতীয় সেনা আরও ১৩ জন সামরিক কর্মকর্তা সে সময় ছিলেন কপ্টারটিতে।
বুধবার বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটে তামিলনাড়ুর কোইম্বাটোর জেলার সুলুর শহরে ভারতের বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে থেকে রাজ্যের নীলগিরি পার্বত্য এলাকার ওয়েলিংটন শহরের দিকে যাচ্ছিল হেলিকপ্টারটি। ওয়েলিংটনে ভারতের সেনাবাহিনীর ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন ৬৩ বছর বয়সী রাওয়াত।
কুনুরের যে এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি গভীর অরণ্য। ঘটনাস্থল থেকে নিকটতম সড়কের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রগুলোতে দেখা যাচ্ছে- পার্বত্য অরণ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হেলিকপ্টারটি ধ্বংসাবশেষ এবং সেখানে ধোঁয়া ও আগুনের মধ্যে থেকে অগ্নিদগ্ধ দেহগুলো বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতোমধ্যে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছ থেকে এ ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছেন। বুধবার নিজ বাসভবনে ভারতের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকও আহ্বান করেছেন তিনি। দাফতরিকভাবে বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর ঘটনা প্রচারিত হওয়ার অনেক আগেই অবশ্য দিল্লিতে তার ও তার স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দুঃসংবাদ জানিয়েছিলেন রাজনাথ সিং এবং ভারতের সেনাপ্রধান এম এম নাভারানে।
ভারতের সেনাবাহিনীর পদসোপান অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ কমিটির প্রধান হচ্ছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ। পদাধিকার বলে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।