1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

রাজনগর ইউপি নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থানে

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৩৪ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের রাজনগরে চতুর্থ ধাপে ৮ ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারনা জমজমাট হয়ে উঠেছে। উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা ও বিদ্রেহী, স্বতন্ত্রসহ ৩৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীরা নিজ মান সম্মান ও অস্তিস্ত ঠিকে রাখার লড়াই লড়ছেন। বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয় নিশ্চিত করতে আটঘাট বেধেঁ মাঠে নেমেছেন। বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশী ভাগ ভরসা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দল সমর্থীত ভোটাদের উপর। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীরা ইউনিয়ন পর্যয়ের বিএনপি, জামায়াত সহ অন্যান্য দলের সুবিধা ভোগী সাবেক নেতাদেরে নিজ প্রচারনার জন্য সংঙ্গী করছেন। কিন্তু বিএনপি, জাময়াত সহ অন্যান্য দলের সাধারন ভোটররা তাদের হাইব্রিড নেতাদেরে সাথে একমত হতে পারচ্ছেন না। অন্যদিকে নির্বাচনীয় প্রচারনায় বিদ্রোহীর দাপটে আওয়ামী লীগের ভোটার বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাই ভোট ভাগাভাগিতে নির্বাচনী মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটের দৌড়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ৭টিতে বিদ্রোহীদের দৌরাত্ম্যে বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। কোনো কোনো ইউনিয়নে একের অধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ঘরের আগুনে পুড়ছে আওয়ামী লীগ। এদিকে বিদ্রোহীদের কোণঠাসা করতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। এরপরও নিজ দলের ভোটারদের ধরে রাখতে হিমসিম খাচ্ছেন। সময় যত গড়াচ্ছে বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের পাল­া ভারী হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস স‚ত্রে জানা যায়,

রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১নং ফতেপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বখতিয়ার উদ্দিনের সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নকুল চন্দ্র দাশ। এছাড়া স্বতন্ত্রের মোড়কে বিএনপি প্রার্থী রয়েছেন আমির আলী ও মোহাম্মদ শামছুদ্দিন। ২ নং উত্তরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সোহেল আলমের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ শাহিদুজ্জামান বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রাজা মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী এস মিয়া, জুনেদ আলী, দীগেন্দ্র চন্দ্র সরকার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এলাকার ভাটি অঞ্চলের ভোটারদের সমর্থন এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারন করে। সেই দিক বিবেচনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবারর এলাকার উন্নয়ন কাজে অবদান রাখায় তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। ৩ নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান ছালেক মিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেল হোসেন ও আবুল হোসেন। ৪ নং পাঁচগাঁও ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শামছুন নুর আহমদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিরাজুল ইসলাম ছানা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লেচু মিয়া, অতষী বরণ ভট্টাচার্য, সাইদুল ইসলাম বাচ্চু, জহিরুল ইসলাম বাচ্চু একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

৫নং রাজনগর সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম সোহেলের বিপরীতে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন গত জাতীয় নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগে যোগদান করা বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান খয়রুল মজিদ। এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আরও লড়ছেন শিপলু আহমেদ, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী। ৬ নং টেংরা ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদ উদ্দীনের সঙ্গে লড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান ও  জননদ্দিত,মাঠি ও মানুষের প্রান ২ বারের সফল চেয়ারম্যানস্বতন্ত্র প্রার্থী টিপু খান, আকমল হোসেন, আরজান খান জাপান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমেদ। ৭নং কামারচাক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ আতাউর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২৫ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনে কামারচাক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দাবি করে নৌকা প্রতীক চেয়ে ২ জন সহ মোট ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। গত ২৯ নভেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে মোঃ আতাউর রহমানকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বহাল রেখে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ নজমুল হক সেলিমের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ গোলাম রব্বানী খান। বিগত ৬ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনে আতাউর রহমান ছাড়া বাকী ৩ প্রার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া, মান্না ছালামত, মো. ইনছান মিয়া প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলে ওই ইউনিয়নে আতাউর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৮ নং মনসুরনগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে উপজেলা ছাত্রলীগের এক সময়কার নেতা সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন হুমায়ুন কবির ও আজিদ উল­াহ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..