অনলাইন ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের জন্য হয়তো আর রক্ত দিতে হবে না, কিন্তু অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিলভার জুবিলি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সময়ে এসে পৌঁছেছি, যখন দেশের জন্য সবারই কিছু করণীয় আছে। দেশের ব্র্যান্ডিং করতে হবে। সারা বিশ্বে দেশটি কী পরিচয়ে পরিচিত হবে, তা নির্ভর করবে আমরা আমাদের কাজটা কতটা এগিয়ে নিতে পারছি তার ওপর।’শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পূর্বসূরিরা স্বদেশি আন্দোলন করেছেন, মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে রক্ত দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। মা-বোনকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য সামরিক স্বৈরশাসন, অসামরিক স্বৈরশাসনসহ নানারকম স্বৈরশাসনের যাতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছে আমাদের। গণতন্ত্র আনতে গিয়ে সতীর্থরা অনেক রক্ত দিয়েছেন। কিন্তু এখন এমন একটি জায়গায় আমরা পৌঁছেছি, হয়তোবা আমাদের আর রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কারাবরণ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু অনেক অভিষ্ট লক্ষ্য আমাদের রয়েছে।দেশের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের অভিষ্ট লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। কিন্তু ২০৩০ সালের আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি—টেকসাই উন্নয়ন লক্ষ্য আমাদের রয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। ডেমোগ্রাফিক ডিবিডেন্ট অর্জন করার জন্য আমাদের সামনে ২০৩১ সাল পর্যন্ত সময় রয়েছে মাত্র ১০ বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেসব অভিষ্ট লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করতে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের এখন প্রয়োজন যে যেখানে আছি যেখানে সততা আন্তরিকতা, মানবিকতা নিয়ে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যেতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিষ্ট লক্ষ্যে আমরা পৌঁছে যাবো। পথ দেখানোই আছে, সেই পথে যেন হাঁটি। নিজের সঙ্গে, দেশের সঙ্গে যেন বিশ্বস্ত থাকি।’
প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘যারা বিদেশে রয়েছেন, বিশ্ব তাদের আচরণ, চলন-বলন, কথা, আচরণ দিয়ে বাংলাদেশকে চেনে। কোন বাংলাদেশেটাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে, এটি তাদেরই ঠিক করতে হবে। আমরা কোন বাংলাদেশ দেখতে চাই—সেই স্বপ্নটাকে সামনে রেখে যেন আমরা তা করি। আমরা যেন কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠতে পারি। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচর্য ড. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ তালুকদার, সংগীত শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।