বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
রাজনগর প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। বড়গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট ১৯১৫ জন ভোটারের মধ্যে সবাই ভোট দিয়েছেন।
ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন নি ওই কেন্দ্রের মৃত ও প্রবাসী ভোটাররাও! বিষয়টি নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এই কেন্দ্রের শতভাগ ভোট পড়ার বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের যোগসাজস রয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বড়গাঁও কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ১৯১৫ জন।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) শেষ হওয়া নির্বাচনের ফলাফল প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক সরবরাহ করা হয় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। সেই ফলাফল বিবরণীতে উল্ল্যেখ করা হয় বড়গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৈধ ভোট পড়েছে ১৩৭০ টি ও অবৈধ (বাতিল) ভোট পড়েছে ৫৪৫ টি। সেই হিসাবে ১৯১৫ টি ভোট অর্থাৎ যত ভোটার তত ভোট পড়েছে ওই কেন্দ্রে!
এই ঘটনা নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এই এলাকার ভোটারদের মধ্যে অনেকেই প্রবাসে রয়েছেন। কয়েক বছরে সেখানকার অনেকেই মারা গেছেন কিন্তু ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়নি। এই কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ায় ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকেন নি মৃত ও প্রবাসী ভোটাররা। খোদ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে প্রার্থী হয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ছানা হতবাক এই বিষয়টি নিয়ে।
চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী সিরাজুল ইসলাম ছানা বলেন, ওই এলাকার অনেকে প্রবাসে থাকেন। অনেকে মারা গেছেন। শতভাগ ভোট কাস্ট হওয়ার কথা নয়। সেখানে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তা বুঝা যায় শতভাগ ভোট কাস্ট হওয়ার ঘটনায়। ওই এলাকায় আমি কম পক্ষে সাড়ে ৪ শ ভোট পাওয়ার কথা। কিন্তু ৫০টি পেয়েছি।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলার সালামত স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সেখানে ভোটার সংখ্যা ১৯১৫ জন। শতভাগ কাস্ট হওয়ার কথা নয়। আমি বিষয়টি দেখছি।
এব্যাপারে পাঁচগাঁওয়ের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, তাড়াহুড়োয় হয়তো মোট ভোট থেকে বৈধ ভোট বাদ দিয়ে বাকিগুলোকে অবৈধ ধরে ফেলেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। ঘটনাটি ভুলক্রমে হয়ে থাকতে পারে।