জুড়ী প্রতিনিধি : সৎ ভাই কর্তৃক একের পর এক মামলায় হয়রানির অভিযোগ করেছেন ৭১ বছর বয়সের বৃদ্ধ মখদ্দছ আলী মখন।

বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। তার পক্ষে তার নাতিন ফাহমিদা আক্তার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, জাকির মনির আমার সৎ ভাই। সে ছোটবেলা থেকে বাড়িতে না থেকে বিভিন্ন জায়গায় থাকত। কয়েক বছর আগে আমি তাকে বাড়িতে আশ্রয় দেই। সে আমার জায়গা দখল, আমার জায়গা থেকে জোরপূর্বক গাছ কেটে নিতে চাইলে আমি তাকে বাধা দেই। এতে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। আমার অপর ভাই আরজুমন আমার পুত্রকে বিদেশ নেয়ার শর্তে আমি তাকে ৪ লাখ টাকা মূল্যের ৩২ শতক জায়গা রেজিস্ট্রি করে দেয়। বিদেশ না নিলে জায়গার টাকা দেয়ার কথা। কিন্তু সে আমার ছেলেকে বিদেশ না নেয়ায় আমি টাকা দেয়ার কথা বলি। এতে সেও আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। দু’জনেই জোট হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত শুরু করে।

বাথরুমে পড়ে জাকির মনিরের মায়ের হাত ভেঙ্গে গেলে সে আমার ছেলেদের উপর আদালতে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বাড়ির পার্শ¦বর্তী বাসিন্দা মাসুক মিয়া গরু চরাতে গিয়ে রশির টানে তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। কিন্তু, জাকির মনিরের প্ররোচনায় আমি সহ আমার ছেলে-মেয়েদের উপর আদালতে মিথ্যা মামলা করে। পরবর্তীতে জুড়ী থানা পুলিশ আমাকে না জানিয়ে সরেজমিনে তদন্ত না করে জাকির মনিরের কথামত আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া রিপোর্ট দেয়। সরেজমিনে তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসতো। এস আই আব্দুল মন্নান আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে খরচের কথা বলে ৫ হাজার টাকা নেন। আমি ওসি ও এসপি সাহেবকে সব কিছু বলার পর ও কোন সুরাহা পাচ্ছি না।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত জাকির মনির গণমাধ্যমকে বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে কোন মন্তব্য করবো না। তবে, আমাকে নিয়ে কেউ অপ্রাসঙ্গিক কিছু বললে সাইবার আইনে মামলা করবো।

এ বিষয়ে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, এখনও রিপোর্ট দেয়া হয়নি। তাছাড়া তিনি আমার সাথে দেখা করেন নি। যোগাযোগ করলে ন্যায় সঙ্গত ভাবে উনাকে সহযোগিতা করব।