শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
মিজানুর রহমান : মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে মেয়র চত্বরে নির্মাণ হচ্ছে উন্মুক্ত মঞ্চ। আজ সোমবার দুপুরে উন্মুক্ত মঞ্চের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন মেয়র ফজলুর রহমান। এ সময় জেলা শহরের সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সংস্কৃতি কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র ফজলুর রহমানের কাছে সংস্কৃতি কর্মীদের দাবি ছিলো একটি উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ করে দেওয়ার। অবশেষে সংস্কৃতি কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন মেয়র ফজলুর রহমান ।
প্রায় ৫০০ আসন বিশিষ্ট এই উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করা যাবে। হবে নাটক, গান ও নৃত্যানু্ষ্ঠান ।
সোমবার উন্মুক্ত মঞ্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি কর্মী ও সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক মিন্টু, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ, জেলা নাট্য পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমদ, রিদম শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি সৈয়দ সলমান আলী, সাহিত্য কাগজ মৃত্তিকা-এর সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ছালিক, মেলোডির তমাল ফেরদৌস, চ্যানেল এস এর হেড অব নিউজ খালেদ চৌধুরী, মনু থিয়েটারের আ স ম সালেহ সোহেল, জীবনচক্র থিয়েটারের আনোয়ার হোসেন দুলাল, বাঁধন থিয়েটারের রুহেল আহমদ, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি ও আই নিউজ-এর সম্পাদক হাসানাত কামাল, রেডিও পল্লীকন্ঠের মেহেদী হাসান, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রদীপ নাহা, মৌলভীবাজার২৪ এর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাহেল, সাংস্কৃতিক সংগঠক রনজিত দত্ত জনি, গড়ব স্বপ্নের শহরের ডোরা প্রেন্টিস প্রমুখ।
এছাড়া মৌলভীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর ফয়ছল আহমদ, নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ নকিবুর রহমানসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
পৌরসভার মেয়র চত্বরে হবে ৫০০ আসন বিশিষ্ট উন্মুক্ত মঞ্চ । এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।
মেয়র ফজলুর রহমান জানান, মাটির টাইলস দিয়ে হবে মঞ্চের ফ্লোর। মঞ্চের সাথে থাকবে গ্রিনরুম। থাকবে চেয়ারের ব্যবস্থা। আয়োজকদের শুধু মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে আসতে হবে।
মেয়র জানান, পৌরসভার সম্মুখের পুকুরের পাড়ে মেয়র চত্বরের সম্মুখে একটি অত্যাধুনিক গেইট নির্মাণ করা হবে। উন্মুক্ত মঞ্চ হবে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২০ ফুট প্রস্থের। মঞ্চের পেছনে ২০ ফুটের মতো দেয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বৃষ্টির সময় যাতে অনুষ্ঠান করা যায় সেজন্য খুঁটির মাধ্যমে ত্রিপল টানানোর ব্যবস্থা থাকবে।
শীত-বর্ষা বারো মাস মঞ্চ ব্যবহারের সুবিধা থাকবে। মঞ্চের কাজ শেষ হলে নামমাত্র ভাড়ায় মঞ্চ ব্যবহার করা যাবে, সেটা হতে পারে ৫০০ টাকা। মৌলভীবাজার পৌরসভা সেটা তত্ত্বাবধান করবে।