শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : পণ্য বিক্রির প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগের মতো যে কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে কিনতে পারবেন না পণ্য। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানী ছাড়া দেশব্যাপী আগামী ১৫ মার্চ শুরু হবে বিশেষ কার্ডে পণ্য বিক্রি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের ভরসা হয়ে ওঠে টিসিবি। কিছুটা কম দামে পণ্য কিনতে প্রতিদিনই ট্রাকের পেছনে লম্বা লাইন হতো। অনেকেই প্রতিদিনই লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনেন। আবার কেউ কেউ পণ্য নিয়ে আবারও লাইনে দাঁডান। এসব অনিয়ম দূর করে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে টিসিবি।
রাজধানী ঢাকা বাদে খুলনাসহ দেশব্যাপী আগামী ১৫ মার্চ থেকে নতুন নিয়মে শুরু হবে টিসিবির পণ্য বিক্রি। যেখানে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবেন নিম্ন আয়ের গ্রাহকরা। নিম্ন আয়ের প্রতি পরিবারের একজনকে এই কার্ড দেওয়া হবে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রথম ধাপে প্রতি কার্ডে একজন ভোক্তা একবার করে ২ কেজি সয়াবিন তেল, ২ কেজি মশুর ডাল, ২ কেজি চিনি ও ২ কেজি ছোলা কিনতে পারবেন। পণ্য বিক্রির দ্বিতীয় ধাপ চলবে ২৭ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা উল্লেখ করে খুলনা সিটি করপোরেশনের ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফকির সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা এ কার্ড পাওয়ার যোগ্য, তাদের খুঁজে বের করে করে দেওয়া হবে।
নিম্ন আয়ের মানুষেরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তরা বলছেন, বিশেষ এ কার্ড না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। সবাই এ সুবিধা পাবেন না মন্তব্য করে তারা জানান, যদি সঠিকভাবে যাচাই- বাছাই করে কার্ড দেওয়া হয়, তাহলে গরিব মানুষের কিছুটা হলেও সাশ্রয় হবে। তবে এসব কার্ড তো মুখ চিনে দিচ্ছে, আমরা তো পাব না। এ কার্ড আমাদের পর্যন্ত আসছে না। অনেকেরই তো সামর্থ্য নেই কিনে খাওয়ার, যদি বিবেচনা করে মধ্যবিত্তদেরও দেয়, তাহলে ভালো হবে।
রমজান সামনে রেখে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যই এ বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে খুলনা টিসিবির অফিস প্রধান রবিউল মোর্শেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনায় এক কোটি হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিতরণ হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এ পণ্য দেওয়া হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্রতিনিধিরা ফ্যামিলি কার্ডের লোকবল নির্ধারণ করবেন। এসব নির্ধারিত মানুষের মধ্যে এ পণ্য বিতরণ করা হবে।
খুলনা মহানগর ও জেলা মিলে মোট এক লাখ নব্বই হাজার পরিবারকে দেওয়া হবে এ বিশেষ কার্ড।