1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

পাম অয়েলে রপ্তানি শুল্ক কমাচ্ছে মালয়েশিয়া

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ মে, ২০২২
  • ২০৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্রেতা দেশগুলোর অনুরোধে পাম অয়েলের রপ্তানি শুল্ক প্রায় অর্ধেক কমাতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। আগামী জুন মাসের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। সেটি হলে মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল আমদানির পরিমাণ যেমন বাড়বে, তেমনি দামও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার অনুপস্থিতিতে বিশ্বে ভোজ্যতেলের বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও সুসংহত করার চেষ্টা করছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম উৎপাদক মালয়েশিয়া। এ লক্ষ্যে পাম অয়েলের রপ্তানি শুল্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে দেশটি।

মালয়েশিয়ার বৃক্ষরোপণ শিল্প ও ভোগ্যপণ্য মন্ত্রী জুরাইদা কামরুদ্দিন এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় থেকে মালয়েশীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এই রপ্তানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল রপ্তানিতে বর্তমানে আট শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। সেটি কমিয়ে চার থেকে ছয় শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী জুন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন জুরাইদা।

খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সূর্যমুখী তেল সরবরাহে বিঘ্ন ও পাম অয়েল রপ্তানিতে ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার সুযোগ নিয়ে বিশ্ববাজারে নিজেদের অংশ বাড়াতে চায় মালয়েশিয়া।

জুরাইদা বলেন, এ সংকটের সময় আমরা বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করতে পারি, যেন আরও বেশি পাম অয়েল রপ্তানি করা যায়। প্রস্তাবে মালয়েশিয়ার বৃহত্তম পাম অয়েল উৎপাদক এফজিভি হোল্ডিংসসহ বিদেশি ওলিওকেমিক্যাল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর জন্য শুল্কছাড়ের বিষয়টি আরও সুবিধাজনক করার কথা বলা হয়েছে বলে জানান মালয়েশীয় এ মন্ত্রী।

এছাড়া, বৈশ্বিক ও স্থানীয় খাদ্য শিল্পে পাম অয়েলের সরবরাহ বাড়াতে মালয়েশিয়া বি৩০ বায়োডিজেল নীতি বাস্তবায়নেও কিছুটা শিথিলতা দেখাতে পারে। এ নীতি অনুসারে, দেশটিতে বায়োডিজেলে ৩০ শতাংশ পাম অয়েল মেশানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। জুরাইদার কথায়, আমাদের প্রথমে বিশ্বের খাদ্য সংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্টের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব জিনিসেই পাম অয়েল ব্যবহৃত হয়। বৈশ্বিক ভোজ্যতেলের বাজারের ৬০ শতাংশই পাম অয়েলের দখলে। এর সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ইন্দোনেশিয়া। স্থানীয় বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলে গত ২৮ এপ্রিল থেকে পাম অয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইন্দোনেশীয় সরকার। এর পরপরই বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম অনেকটা বেড়ে যায়। সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো দেশগুলো, যারা ইন্দোনেশীয় পাম অয়েলের ওপর বেশি নির্ভরশীল।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..