1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ব্লগার অনন্ত হত্যা : ফাঁসির আসামি ফয়সাল ভারতে গ্রেপ্তার

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২
  • ২০৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফয়সাল আহমদ বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।

কলকাতা পুলিশের বরাতে দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে, ১ জুলাই বেঙ্গালুরুর বোম্মনাহাল্লি থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩ জুলাই কলকাতায় আনা হয় তাকে।

আনন্দবাজার আরও জানিয়েছে, জুনের শুরুতে ভারতে ফয়সালের অবস্থানের তথ্য পান বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। এরপর তার মোবাইল নম্বর কলকাতা পুলিশকে দেয়া হয়। মোবাইল ট্র্যাক করে বেঙ্গালুরু থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কলকাতা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ফয়সালকে শিগগিরই বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হবে।

গত ৩০ মার্চ সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার রায়ে ফয়সালসহ ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

দণ্ডিত চারজন হলেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন, খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ ওরফে হারুন অর রশিদ ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ।

এ মামলায় সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী সাফিউর রহমান ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমানকে খালাস দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চারজনের মধ্যে আবুল হোসেন, ফয়সাল আহমদ ও মামুনুর রশীদ পলাতক ছিলেন। এর মধ্যে ফয়সাল ভারতে গ্রেপ্তার হলেন।

কলকাতা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল জানিয়েছেন, তারই নেতৃত্বে আসামের বরাক উপত্যকায় আল-কায়দা ঘাঁটি মজবুত করেছে। তিনি আল-কায়দার ছায়া সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ানোর আড়ালে জিহাদি মতাদর্শ ছড়িয়েছেন ফয়সাল।

গ্রেপ্তারের সময় ফয়সালের কাছে কলকাতা পুলিশ যে পাসপোর্ট পায়, তাতে রয়েছে কাছাড়ঘেঁষা মিজোরামের ঠিকানা। ড্রাইভিং লাইসেন্স জোগাড় করেন বেঙ্গালুরু থেকে। ভোটার কার্ড শিলচরের। সেখানে তার পরিচয় শাহিদ মজুমদার।

পুলিশ জানায়, জিহাদি কার্যকলাপের অভিযোগ স্বীকার করে ফয়সাল জানিয়েছেন, ২০১৫ সালেই তিনি শিলচরে পালিয়ে যান। তবে ব্লগার হত্যায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

অনন্ত হত্যা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানি আবাসিক এলাকায় নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

হত্যার পর অনন্তের বড় ভাই রতেœশ্বর দাশ সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

মামলাটি পুলিশের কাছ থেকে অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। এতে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলায় ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..