শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কয়েক দিনের টানা মাত্রাতিরিক্ত গরমে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিশু ও বয়স্ক লোক। তাপ দাহের কারনে কৃষক সহ নিম্ন আয়ের লোকজন কাজে যেতে না পারায় দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রা। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও ২/৩ দিন অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়।
জানা যায়, আষাঢ় মাসে চলছে তাপদাহ। ভরা বর্ষা মৌসুমের মধ্যভাগে এসেও চৈত্র-বৈশাখের মতো মাত্রাতিরিক্ত গরমে নাকাল এ উপজেলাসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ। গত কয়েক দিন ধরে দিন রাত-সমানতালে গরমের দাপট বাড়ছে। তবে মাঝে মধ্যে সন্ধ্যায় পর হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং প্রাইভেট চিকিৎসা এছাড়া অনেকেই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছেন।
অস্বাভাবিক দাবদাহের কারণে অধিকাংশ ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডাক্তারের চেম্বারে বাড়ছে রোগীর ভিড়। এতে ফার্মেসি গুলোতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বাড়ছে কয়েক গুণ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক লোকজন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হঠাৎ করে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় লোকজন পড়েছেন মহা বিপদে। এমন অবস্থায় খেটে খাওয়া লোকজনসহ দিনমজুররা পড়েছেন বেকায়দায়। তারা কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না ঠিকমতো।
রিক্স্রা চালক মোমিন মিয়া বলেন, গরমের তাপে বাড়ীতেই থাকা যাচ্ছেন। তাই তেমন ভাবে কাজে ও যেতে পারছি না। কিছু সময় কাজ করি, আবার কিছু সময় বসে থাকি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না। কৃষক আজাদুর রহমান বলেন, জমিতে আগাছা জমেছে। গরমের কারনে জমির আগাছা পরিস্কারের কাজ করতে পারছি না। জানিনা সময় মতো আগাছা পরিস্কার করতে না পারার কারনে ফসল বিনষ্ট হওয়ার সম্ববনা রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারবেশন অফিসার আনিসুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫. ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৃহস্পতিবার ছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরো বলেন, এই তাপমাত্রা আরও ২/৩ দিন অব্যাহত থাকবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এম, মাহবুবুল আলম ভূইয়া বলেন, শিশু ও বয়স্ক মানুষ জ্বর, সর্দ্দি, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রনে আছে। গরম কমে গেলে তা এমনিতেই হ্রাস পাবে।