শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলনরত ঢাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট বলেন, ‘আমরা পত্রিকায় দেখলাম একটি ছেলে আন্দোলন করছে। ছেলেটি যে আবেদন করেছে সেটা নাকি সচিব গ্রহণ করেছেন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া দরকার। তার কোনো অভিযোগ থাকলে সে আদালতে আসতে পারেন। আমরা বিষয়টি দেখব।’
আজ বুধবার (২০ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।
এ সময় আদালত দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিককে তার আন্দোলনের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে বলেন।
আদালত দুদকের আইনজীবীকে বলেন, ‘রেলের দুর্নীতি-সিন্ডিকেট নিয়ে দুদক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, তা আমাদের জানান।’
গত ৭ জুলাই থেকে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা-যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিতে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। শুরুতে একা আন্দোলন করলেও পরে তার বন্ধু, সহপাঠীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও অবস্থান নেন। কয়েখ দিন ধরে সেখানে তারা গান, কবিতা, পথনাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।
আন্দোলনের কারণ জানতে চাইলে রনি জানান, গত ১৩ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনের আসন নিবন্ধনের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা সংস্থা বিকাশ থেকে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে তার পিন কোড ছাড়াই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু ট্রেনের কোনো আসন পাননি, এমনকি কেন টাকা নেওয়া হলো, তার কোনো রশিদও দেওয়া হয়নি