1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

উদ্দাম নাচের পর ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর ড্রাগ পরীক্ষা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২
  • ১২৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান বিতর্কের মুখে তিনি যে মাদকাসক্ত নন এবং কখনো মাদক নেননি, তা প্রমাণ করতে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন ড্রাগ টেস্ট করেছেন।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

সান্না মারিন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে, জনসাধারণের পক্ষ থেকে বেশ গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যে আমি এমন একটি জায়গায় ছিলাম, যেখানে মাদক ব্যবহার করা হচ্ছিল বা আমি নিজেই মাদক ব্যবহার করেছি।

‘আমি এই অভিযোগটা বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছি। আমার আইনি সুরক্ষা এবং সন্দেহ দূর করার জন্য ড্রাগ টেস্ট করেছি। এর ফলাফল এক সপ্তাহের মধ্যেই আসবে।’

সংবাদ সম্মেলনের আগেই তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমার জীবনে, এমনকি আমার তারুণ্যেও আমি কোনো দিন মাদক নেইনি।’

তার উদ্দাম নাচ ও গানের ভিডিও ফাঁস হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে সক্ষমতার প্রশ্ন উঠেছে। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান চলাকালীন যেকোনো হটাৎ সংকটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সান্না মারিন কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, শনিবার রাতে আসলে তার তেমন কোনো কাজ ছিল না, যদি তার কাজ করার প্রয়োজন হতো, তিনি পার্টি ছেড়ে চলে যেতেন।

এর আগে একটি ফাঁস হওয়া ভিডিওতে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সান্না মারিনকে উদ্দাম নাচতে দেখা যাওয়ায় দেশটিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

ফাঁস হওয়া ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী ও তার বন্ধুদের নাচতে ও গাইতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ফিনিশ সেলিব্রেটিরাও রয়েছেন।

ভিডিও ফাঁসের পরই সমালোচনার মুখে পড়েন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।

বিরোধীদলীয় নেতা রিক্কা পুররা প্রধানমন্ত্রীর মাদকাসক্তি বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তার ড্রাগ টেস্টের দাবি জানিয়েছিলেন।

একসময় মারিনের হয়ে কোয়ালিশন সরকারে কাজ করা পার্লামেন্ট সদস্য মিক্কো কারনাও বলেছিলেন, এটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি মারিন নিজে থেকে ড্রাগ টেস্ট করতে যায়।

তবে মারিনের দাবি, তিনি শুধু মদ পান করেছিলেন এবং হইচই করে পার্টি উদযাপন করেছিলেন। মাদকের কোনো বিষয় ছিল না।

মারিন স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, ‘আমি নেচেছি, গেয়েছি, পার্টি করেছি। এগুলো সবই বৈধ এবং আমি কখনই কোনো ড্রাগ সেবন করিনি। আমার পারিবারিক জীবন আছে। আমার কাজ আছে এবং অবসর সময়ও আছে। আমার বয়সী মানুষ যেভাবে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায়, আমিও একইভাবে সময় কাটাই।’

মারিন আশা করেন, সবাই এটি স্বাভাবিকভাবেই নেবে।

বর্তমান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপ্রধান এবারই প্রথম বিতর্কের জন্ম দেননি। গত বছর কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পরও তিনি ক্লাবে গিয়েছিলেন। পরে এ জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

গত সপ্তাহে জার্মান নিউজ আউটলেট বিল্ড তাকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দিয়েছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..