1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

জেলা পরিষদের ছাদ ধসে নিহত ২, দায়িত্বে অবহেলার প্রশ্ন

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৭৩ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ ধসে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় ঠিকাদারের দায়িত্ব অবহেলাকে দায়ী করেছে স্থানীয়রা। নির্মাণকাজের সময় নিরাপত্তাবেষ্টনী না দেওয়া এবং নিয়মনীতি না মেনে কাজ করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঠিকাদার কৈলাশ ত্রিপুরা ও ক্যাজরী মারমা যৌথভাবে সাব ঠিকাদার প্রনন্ত কুমার দাশকে দিয়ে জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ নির্মাণের কাজ করাচ্ছিলেন। সেখানে ২২ জন শ্রমিক প্রায় ৩০ ফুট উঁচুতে কাজ করছিলেন। এত উঁচুতে কাজ করলেও ছাদের নিচে কোনও লোহার ঠেস দেওয়া হয়নি। বাঁশ দিয়ে ছাদের ঠেস দেওয়া হয়েছিল। দুর্বল ঠেসের কারণে কাজ চলা অবস্থায় হঠাৎ করে ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। বাঁশগুলো অতিরিক্ত ভার রাখতে না পারায় ছাদ ধসে পড়ে। এতে ছাদের ওপরে ও নিচে থাকা বেশ কয়েকজন শ্রমিক চাপা পড়েন। সেইসঙ্গে দুই শ্রমিক মারা যান এবং পাঁচ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, জেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের সামনে নতুন করে ছাদের একটি অংশ বর্ধিত করার কাজ চলছিল। সেখান থেকে দুজনকে মৃত এবং পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মৃত একজন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সবুজবাগ এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২২), অপরজন বাগেরহাটের চিতলমারী থানার কালিগাতি এলাকার সোহরাব শিকদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সাকরিয়া হায়দার বলেন, ‘ছাদ ঢালাইয়ের জন্য নিচে শক্ত লোহার খুঁটি ব্যবহারের দরকার ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। ঠিকাদারের অবহেলা ছিল। শোনা যাচ্ছে ঠিকাদার সাব-ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করাচ্ছিলেন। তবে আরও কারণ থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

জেলা পরিষদের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম বলেন, মূলত সেন্টারিং দুর্বল হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। বাঁশের সেন্টারিংয়ের চারদিকে টানা বাঁধ দিতে হয়। কিন্তু এই কাজে টানা বাঁধ দেওয়া হয়নি। ফলে অতিরিক্ত ভারে ধসে পড়েছে ছাদ। তাহলে জেলা পরিষদের তদারকি প্রকৌশলীরা কেন কাজে বাধা দেননি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

এসব বিষয়ে কথা বলতে জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী জিকু চাকমার মোবাইলে কল দিলে তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংশিপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, নিম্নমানের কাজের জন্য নাকি অবহেলাজনিত কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসা খরচ দেওয়া হবে।

কাজের ঠিকাদার কে?

কাজের ঠিকাদার হিসেবে কৈলাশ ত্রিপুরা ও ক্যাজরী মারমার নাম বলা হলেও তাদের দাবি, কাজের ঠিকাদার তারা নন। তাদের নাম ব্যবহার করে কেউ ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রকৌশলী, একাধিক সদস্য ও কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললেও প্রকৃত ঠিকাদার কে, কত টাকার কাজ তা পরিষ্কার করে জানাতে পারেননি কেউ।

কে এই সাব-ঠিকাদার নামের প্রনন্ত কুমার দাশ?

সরকারি ছুটির দিনে কোনও প্রকৌশলীর উপস্থিতি ছাড়া কাজ করা সাব-ঠিকাদার প্রনন্ত কুমার দাশ কে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তদারকি প্রকৌশলী ছাড়া কীভাবে তিনি (প্রনন্ত) কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাব দেননি সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম।

তদন্ত কমিটি

এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গণমাধ্যমে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংশিপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, ‘তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়াকে আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে সদস্য করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..