রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক::নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তির শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট বজলুর রহমান বজলুর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং পরিচালনা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং পতিতালয় পরিচালনার অভিযোগ পেয়েছে র্যাব।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে চনপাড়া বস্তি থেকে বজলুকে মাদক, জাল টাকা ও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব-১।
এ বিষয়ে আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১ এর অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় বজলুর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন, একটি মোবাইল সেট, ভারতীয় ২৫ হাজার জাল রুপি, ৭৫ হাজার জাল টাকা এবং মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন জানিয়েছেন, বজলুর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অপরাধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে।
র্যাব জানায়, বজলু চনপাড়া বস্তি এলাকার মাদক কারবারের অন্যতম হোতা ও নিয়ন্ত্রক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তার বেশ কয়েকজন তার অপকর্মে সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
বজলু চনপাড়া বস্তিসহ আশপাশের এলাকার মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা তুলতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
চনপাড়া বস্তি ৯টি এলাকায় বিভক্ত। এই এলাকার শীর্ষ ৫/৬জন মাদক কারবারির প্রধান সমন্বয়ক ও গডফাদার ছিলেন বজলু।
র্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, বস্তি এলাকার মাদকের প্রায় দুইশ’ স্পট থেকে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বজলু এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।
র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, বজলুর রহমান বজলু কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। তিনি স্থানীয় উঠতি বয়সী ছেলেদের কাছে বজলু ভাই নামে পরিচিত। বিভিন্ন সোর্স তার ছত্রছায়ায় এলাকার ছেলেদেরকে টাকা দিয়ে নানা অপকর্ম যেমন- হত্যা, মাদক বেচাকেনা, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি দেখানো, কিশোর গ্যাং পরিচালনা, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং পতিতালয় পরিচালনা করে। কেউ চাঁদা না দিলে তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের ভয়াবহতা। এসব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত এক-দেড় বছরে নিহত হয়েছেন ছয়জন। তাদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
র্যাব জানায়, ২৭ সেপ্টেম্বর অপরাধী গ্রেপ্তারে র্যাব চনপাড়া এলাকায় অভিযান চালালে বজলুর নির্দেশে অপরাধীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে অপরাধী ছিনিয়ে নেয়ারও অপচেষ্টা চালায়।
বজলুকে এ সংক্রান্ত এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি আরও তিনটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল-মোমেন। নতুন করে বজলুর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও জাল নোটের মামলা হবে।