1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২
  • ১২২ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগে রাস্তাঘাট ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল, উন্নয়ন ছিল না। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মান মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে ইপিজেডের শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে রপ্তানি বৃদ্ধি করা ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া। পরিকল্পনা রয়েছে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ী-বান্ধব সরকার। গবেষণার মাধ্যমে আমরা ফসল উ’পাদনের উদ্যোগ নিয়েছি, দেশের চরাঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি, শিল্পায়নের ব্যবস্থা করেছি। তবে কিছু একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে।’

নিষেধাজ্ঞার ফলে সুযোগটা কমলেও বাংলাদেশ অতো খারাপ অবস্থায় নেই বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, আপনারাও সেভাবে সহযোগিতা করুন।’

কৃষি জমি ঠিক রেখে শিল্পায়নকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি এলাকায় শিল্প গড়ে তুলতে হবে। তবে যত্রতত্র শিল্পায়ন করা যাবে না।

ফসলি জমি নষ্ট না করে শিল্প কারখানা স্থাপনের তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যত্রতত্র শিল্পায়ন করা যাবে না। ফসলি জমিতে ফসলই হবে। ফসলি জমি যেন নষ্ট না হয়। যেসব জায়গা কাজে আসে না সেগুলোতে আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর হাওয়া ভবন নেই। কোনো কাজ পেতে হলে আর এখানে-সেখানে ছোটাছুটি করতে হয় না। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন সেই সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার।

বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে রাস্তাঘাট ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল, উন্নয়ন ছিল না। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

রফতারি বৃদ্ধির জন্য সরকারের চেষ্টার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘রফতানি বৃদ্ধি ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। পরিকল্পনা রয়েছে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ী-বান্ধব সরকার। গবেষণার মাধ্যমে আমরা ফসল উ’পাদনের উদ্যোগ নিয়েছি, দেশের চরাঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি, শিল্পায়নের ব্যবস্থা করেছি। তবে কিছু একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে।’

অনুষ্ঠানে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হলে কৃষি ও শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি রফতানি বাজার খোঁজার পরামর্শ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে আমরা আন্তর্জাতিক মানের এয়ারপোর্ট করে দিচ্ছি। চট্টগ্রাম কর্ণফুলী টানেল করে দিচ্ছি। এপারের মানুষ ওপারে যেতে আর অসুবিধা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতা এসেই আমাদের একটাই লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। বেসরকারি খাতে শিল্পায়নের জন্য জায়গা দিয়ে সুযোগ করে দেওয়া হয়। শিল্পায়ন এক এলাকায় ভিত্তিক নয়, সারা বাংলাদেশ ব্যাপী করা হয়। শিল্পায়ন করতে গিয়ে তিন ফসলে জমি নষ্ট করা যাবে না। যারা জমি দিবে তাদের পরিবারের সদস্যদের কর্মস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষি প্রধান অর্থনীতি, কিন্তু শিল্পায়ন ছাড়া একটা দেশ উন্নত হয় না, কর্মসংস্থান হয় না। আমাদের কৃষিও যেমন অব্যাহত রাখতে হবে, পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। সেই চিন্তা করে বেসরকারির সমস্ত খাতকে উন্মুক্ত করে দেই, পাশাপাশি তাদের উৎসাহিত করার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। বেসরকারি খাতে শিল্পায়নের জন্য জায়গা দেওয়া এবং সবধরনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টিও আমরা করেছিলাম। একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই আমরা করতে পেরেছি।

জাতির পিতা প্রথম বার মন্ত্রী হওয়ার পর এ অঞ্চলের জন্য শিল্পায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলসহ এইগুলো তারই (বঙ্গবন্ধু) হাতে শুরু হয়েছিল। আমরা তারই পথ অনুসরণ করে সারা বাংলাদেশব্যাপী শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি, শুধু একটি অঞ্চলভিত্তিক নয়, প্রতিটি অঞ্চলে যাতে হতে পারে।

৫০টি শিল্প স্থাপনার মধ্যে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (বিএসএমএসএন) চারটি কারখানা এবং বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন ইজেডে আটটি কারখানা খোলা হয়েছে। এই শিল্প ইউনিটগুলো ইতোমধ্যেই ডলার ৯৬৭ দশমিক ৭৩ মিলিয়নের বেশি বিনিয়োগ সম্পন্ন এবং আরও প্রায় ডলার ৩৩১ দশমিক ২৭ মিলিয়নের বিনিয়োগ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইজেড-এ ২৯টি শিল্প ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যেগুলো এখন পর্যন্ত ৬১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং আর ১ হাজার ৯২২ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিএসএমএসএন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট ইজেড এবং সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন করা হয়।

তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসএমএসএন-এ ২০-কিলোমিটার শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০-কেভিএ গ্রিডলাইন এবং সাবস্টেশন উদ্বোধন করেন এবং প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন লিটার (এমএলডি) ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পানি শোধনাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এইগুলোর মধ্যে একটি, প্রিফেব্রিকেটেড স্ট্রাকচারাল স্টিল তৈরি করে, যা ইস্পাত সেতু এবং ইস্পাত উঁচু ভবন, কারখানা এবং পাওয়ার প্ল্যান্টে ব্যবহৃত হয়।

নিপ্পন এবং ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আমদানি করা ইস্পাত, পুরলিন, স্লিটিং শিট এবং কয়েল থেকে এমএস প্লেট উৎপাদন করে। এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, যেটি পেইন্ট এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য, ইমালসন উৎপাদন করে, অর্থনৈতিক অঞ্চলে $৩৪ মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।

পিএইচসি পাইল প্রস্তুতকারক সমুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, ৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ৪-একর জমিতে তাদের কারখানা নির্মাণ করছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর জাপানিজ ইকোনমিক জোন উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চট্টগ্রামে বিএসএমএসএন প্রান্ত থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। অনুষ্ঠানে বেজার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

বেজা জানিয়েছে, শিল্প, কর্মসংস্থান, উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পশ্চাৎপদ ও অনুন্নত অঞ্চলসহ বাংলাদেশের সকল সম্ভাব্য এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে, সরকার ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ২৮টি বর্তমানে উন্নয়নাধীন রয়েছে।

এখনও পর্যন্ত ১২টি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এসব অঞ্চলে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এটি বার্ষিক ৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন এবং রফতানি করা যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ট্যাক্স হলিডে এবং কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধা পেতে পারেন।

অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো জাপান, চীন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..