1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

এবারের আন্দোলন শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন- ফয়জুল করিম ময়ুন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৮৮৭ বার পঠিত

স্টাফ রিপোটার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড.রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, ৭ ডিসেম্বর বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে মকবুল হোসেন হত্যা, মিথ্যা গায়েবী মামলা, হামলা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ জবর-দখল করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের প্রেসক্লাবের সম্মুখ হতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। চৌমুহনা হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এম সাইফুর রহমান সড়কের হামিদিয়া পয়েন্টে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা ফয়সল আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন,সহসভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা আশিক মোশাররফ,জেলা যুবদলের সভাপতি সাবেক ছাত্র নেতা জাকির হোসেন উজ্জ্বল,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি বদরুল আলম,মো.হেলু মিয়া,প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক বকসী মিসবাহ উর রহমান,জেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম রিপন,পৌর বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান,সদর উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারী মিজানুর রহমান নিজাম,জেলা কৃষকদলের আহবায়ক শামীম আহমদ,যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল করিম ঈমানী,জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট নিয়ামুল হক,সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শামীম জাফর,সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউর রহমান,সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হাফেজ আহমেদ মাহফুজ,পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শিবলু আহমেদ,মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের জনি আহমদ,পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুলতান আহমেদ টিপুসহ ছাত্রদল,যুবদল,কৃষকদলসহবিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন-‘পুলিশ যখন নয়াপল্টনের বিএনপির কার্যালয়ে মূর্হমূহগুলি,গণহারে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হামলা চালিয়ে তাÐবলীলা করেছিল তখন মহাসচিবকে পার্টি অফিসে পুলিশ ঢুকতে বাঁধা দিয়েছিল। তখন মহাসচিব পার্টি অফিসের সামনেই মাটিতেবসে পড়েছিলেন। তাহলে তিনি কিভাবে নাশকতার সাথে যুক্ত হলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে কিভাবে নাশকতা করলেন এটাই দেশবাসীর কাছে আজ বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
ময়ূন বলেন- সেদিন বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের গ্রেফতার ও নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গনমামাধ্যমে সারাদেশের মানুষ ও সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছে। ১০ তারিখের সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করতে দিনভর এমনকি রাতপর্যন্ত মির্জা আব্বাস,রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ,শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কাজ করছিলেন। অথচ দিনে অন্যান্য নেতাদের ও রাত তিনটায় দলের মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে প্রথমে আটকে রাখা হয়,পরে নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়। সেখানে তাদের সাধারণ কয়দীর মতো রাখা হয়।
তিনি বলেন,আজকে বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিয়ে কথা হয়। এর আগে দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে নয়টি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছে। কোথাও কোন গন্ডগোল হয়নি। শতবাধা ডিঙ্গিয়ে সাধারণমানুষ তার নিজ খরচে গণসমাবেশে গিয়ে এ গণবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঢাকার গণসমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনসাধারণ জীবনবাজীরেখে যোগ দিয়েছে। কোনও গন্ডগোলগোলাযোগ হয়নি। তাহলে এতা ভয় কিসের। সভা সমাবেশে মানুষ দেখলেই এ নিশী রাতের ভূয়াভোটের সরকারের কাপুনি শুরু হয়। মসনদ নিয়ে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়। এই ভয়েই দলের মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে মিথ্যাবানোয়াট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এভাবে যদি বিএনপির সকলকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে বিএনপির দায়িত্ব নিবে এদেশের মুক্তিকামী জনগন। এ দেশের জনগণ নীশিরাতের এই অবৈধ ভোটচোর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে জেগে উঠেছে। মৌলভীবাজারেও এম নাসের রহমানের নেতৃত্বে ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আজকে বিএনপির সমাবেশে ২০ লক্ষ ৩০ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। এরা সবাই বিএনপি করে না। এদের অধিকাংশরাই সাধারণ জনগণ।
সুতরাং এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গেছে এবারের আন্দোলন,জনগনের আন্দোলন। এবারের আন্দোলন মুক্তির আন্দোলন। এবারের আন্দোলন শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন। আমাদের দাবী তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। জনগন তাদের পছন্দের সরকার নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনা করবে।#

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..