1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে পানি সংকটে বোরো চাষীরা/প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ইঞ্চি ভুমি যেন খালি না থাকে সেটি বাস্তবায়নের দাবী কৃষকদের

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৩৬৩ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার-রাজনগরসহ অন্যন্য উপজেলার হাওরঅঞ্চলে পানি সংকটে বোরো চাষীরা বিপাকে। সময় মতো পানি সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়ায় বোরো আবাদে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় কৃষকরা। হাওরাঅঞ্চলে বোরো চাষাবাদে একমাত্র ভরসা মনুনদী সেচ প্রকল্প। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসেও প্রকল্পের খাল-বিল গুলিতে পানির অভাবে জমিতে হাল চাষ দিতে পারছেনা চাষীরা। ৪০বছরের অধিক সময় মনু সেচ প্রকল্পের খাল গুলির সংস্কার না হওয়ায় ভরাট হয়ে কৃষকদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে নিন্মঞ্চলে খাল দিয়ে সেচের পানি পৌঁছায়না। সেচ সংকটে ভরা মৌসুমেও বোরো চাষাবাদ করতে না পারায় হতাশা কৃষকরা।


মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ ৭টি উপজেলার নিন্মাঅঞ্চলে কৃষকেরা সেচের পানির জন্য করছে হাহাকার। পানির অভাবে ফসলী জমি ফেটে চৌচির হওয়ায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার ১৫/২০টি গ্রামসহ সুনাটিকি গ্রাম, ধুলিজোড়া, কেওলা, মোখাউতা,নোয়াগাঁও,জামুরা,মেদিনীমহল,চালবন,চিড়াখাউড়ি,সাবাজপুর,বরইউড়িসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরোর মাঠে কৃষকের করুন আর্তনাদের সুর। শুধু তাই নয় পশু পাখিরাও খাবার পানি পাচ্ছেনা। ‘মনু প্রকল্পের পানি যদি সময় মতো না আসে,তাহলে কৃষকদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়াবে। কিছু কিছু জমিনে পুকুর থেকে সেচ দিয়ে হালি চারা রোপন করলেও এখন পানি শুন্যতা দেখা গেছে। মৌলভীবাজার ও রাজনগর উপজেলাকে ঘিরে ১৯৮২সালে মনুনদী সেচ প্রকল্পের আওতায় ১০৫ কি.মি. খাল খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বোরো মৌসুমে এসব খাল দিয়ে পানি সরবারহের মধ্যেমে চলতি বুরো মৌসুমে ৫৮হাজার ৭শত ৫০হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আসে। বর্তমানে ছোট নদী,খালগুলি ভরাট ও বিভিন্ন স্থানে খাল মাঠিতে ভরাট হওয়ায় পানি প্রবেশের পথ বন্ধ। পানি বণ্টনের চেক গেট গুলিরও অনেকটা এখন কার্যকারিতা হ্রাস পাচ্ছেনা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে হাওরাঞ্চলে ডিসেম্বরের শুরুতে পানি সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসলেও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা অভিযোগ কৃষকদের। প্রতি বছর জানুয়ারিতে পানি সরবরাহ করলেও কিছু কিছু এলাকায় পানিই পৌছায়না। ফলে বোরো আবাদকৃত জমিগুলো শুকিয়ে ফেটে চৌচির বিস্তৃন্ন অঞ্চল। পানির উৎস পুকুর ও খালের পানি শুকিয়ে মৌলভীবাজার ও রাজগরসহ জেলার অন্যন্য অঞ্চলে বুরো চাষাবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

একাদিক কৃষক/স্থানীয় জনপ্রতিনিধি/ বাসিন্দারা দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে জানান- বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির। চারা লাগানোর পর ছড়া ও খাল থেকে সেচ দিয়ে আসছিলেন কৃষকরা। কিন্তুু ছড়া ও খাল শুকিয়ে যাওয়ায় সেচ পাম্প বন্ধ রয়েছে। মনু নদী প্রকল্প থেকে সেচ ব্যবস্থা চালু হলে পানি সংকট থাকতো না। আরও অধিক অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আসতো। দুশ্চিন্তায় পড়েছি তবু হাল ছাড়ছি না। কখন পানি আসবে আর সেচ পাম্প চালু করে জমিতে পানি দিতে পারবো, সে চিন্তায় থাকি। অধিকাংশ ফসলি জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে মরে যাচ্ছে আবাদকৃত বোরো ধানের হালিছাড়া। আমরা এ অঞ্চলের কৃষকেরা বু্যরো ধানের উপর নির্ভরশীল কিন্তুু বিগত কয়েক বছর ধেথে পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারছিনা। পরিবার পরিজন ও গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে আছি। প্রথান মন্ত্রী দয়া করে আমাদের পাশে দাড়ান। না হলে মরা ছাড়া কোন পথ নাই।
এনিয়ে আমিন উদ্দিন বাবু,সভাপতি,পানি নিস্কাষন এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার দৈনিক মৌমাছি কন্ঠের সাথে আলাপকালে জানান, কাউয়াদিঘি,হাকালুকি,বড় হাওর,কেওলা,করাইয়া,হাইল হাওরসহ জেলার অন্যন্য কয়েকটি বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি সংকটে কৃষকদের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি বলেন গত ১৩ ডিসেম্বর মনু ব্যারেজ এলাকায় কৃষকদের নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগকে নিয়ে সেচযন্ত্রসমূহ সচলকরণ, অনাবাদি পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহারসহ কৃষিঋণ বিতরণে কার্যকর সহায়তা প্রদানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা থাকলেও ’অদৃশ্য’ কারনে উদ্বোধন জয়নি। কৃষকরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। দ্রুত সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এব্যাপারে কৃষিকিদ শামছুদ্দিন আহমদ, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন,‘চলতি বছর বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৮হাজার ৭শত ৫০হেক্টর জমিতে। জেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক জমিতে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বোরো ধানের মৌসুমে জমি ফেটে চৌচিরসহ রোপণকৃত হালি চারা নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। কয়েক যুগ পুর্বে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ক্যানেল তৈরি ছিল। কিন্তুু সেগুলো এখন কোন কাজে লাগছেনা। পুরনো পানি সেচের অব্যবহারযোগ্যর পাশাপাশি নতুন সংযুক্ত করে সংস্বার করা হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন সম্বাবনা রয়েছে।


হাওরাঅঞ্চলের পানির হাহাকার নিয়ে এম এ হান্নান খান, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড (যাত্রিক/পওর দপ্তর) মৌলভীবাজার দৈনিক শৌমাছি কন্ঠকে বলেন- ৪০বছরের অধিক পুর্বে মৌলভীবাজা ও রাজনগর উপজেলাসহ অন্যন্য এলাকায় পানি সেচের জন্য করা হয়েছিল সেগুলো বরাট ও সংস্কার না হওয়ায় নিন্মাঞ্চলে পানি পৌছানো সম্বব হচ্ছেনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোন ভুমি পতিত বা থালি যেন না থাকে সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি সময়ে একটি ফাইল উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি সদয় হলে কৃষকরা সফলতা পাবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ এক ইঞ্চি জমি যেন পতিত না থাকে সেটি বাস্তবায়নে দ্রুত সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..