শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : ২০১৬ সালের অক্টোবরে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে হারায় ইংল্যান্ড। ২০০৩ ও ২০০৯ সালেও দুবার বাংলাদেশের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ইংলিশরা। কিন্তু ২০১৬ সালের সর্বশেষ হারের পর ঘরের মাঠের ঈর্ষণীয় সাফল্য আসে। মাঝের এ সময় টানা সাতটি ওয়ানডে সিরিজে প্রতিপক্ষকে হারায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এছাড়া, ২০২১ সালে টানা দুটি টি২০ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো পরাশক্তিকেও নাস্তানাবুদ করার সুখস্মৃতিও আছে।
সাতটি হোম সিরিজ জয় শেষে আবার সেই ইংল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের স্বাদ। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সামর্থ্য নিয়ে নিশ্চয়ই কেউ প্রশ্ন তুলবে না। তবে প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশ দলের মধ্যকার ঐক্য, ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষাসহ সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের মধ্যকার বিরোধের বিষয়টি সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দলের আত্মবিশ্বাসে কি চিড় ধরালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন? নাকি তামিম-সাকিব দ্বন্দ্বের কারণে ভরাডুবি ঘটল দলের?
বিসিবি প্রধান সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, সাকিব ও তামিম কয়েক বছর ধরেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না। ‘গোপন’ এ কথাটি প্রকাশ্যে এনেছেন পাপন, যা দলের মধ্যে ভীষণ অস্বস্তি তৈরি করেছে। আবার পাপনের অভিযোগ, দুই জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটারের একে অপরের সঙ্গে কথা না বলার বিষয়টি ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছে।
সিরিজ শুরুর আগে তামিম এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন, তাদের দুজনের বাইরের সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং দুজন মাঠে কেমন পারফর্ম করেন এবং দল কেমন করে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ‘নো কমেন্টস’ বলে এড়িয়ে না গিয়ে বরং বিষয়টি নিয়ে কথা বলে সবাইকে পরিষ্কার ধারণা দিতে চেয়েছেন তামিম। কিন্তু পরিষ্কার ধারণা কেউই পাননি। শুধু এটুকু জানা গেল, দুজনের মধ্যে বিরোধ আছে, কিন্তু সেটি তামিম প্রকাশ করতে চাইছেন না।
অন্যদিকে, পাপনের কথায়ও ধূম্রজাল। তামিমের সংবাদ সম্মেলনের পর ২৭ ফেব্রুয়ারি পাপন দাবি করেন, আসলে গণমাধ্যম থেকেই তিনি দুই ক্রিকেটারের বিরোধের কথাটি জেনেছেন।
সাকিব ও তামিম ইস্যু এবং পাপনের বক্তব্য এমন সময় প্রকাশ্যে এসেছে যখন কিনা বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে। স্পষ্টতই, বাংলাদেশ দলের ভেতরের এ বিরোধ প্রভাব ফেলেছে মাঠের পারফরম্যান্সে। প্রথম ওয়ানডেতে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং প্রদর্শনীতে মাত্র ২০৯ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে বোলাররা দারুণ লড়াই করার পরও তিন উইকেটে হেরে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিং, ব্যাটিং দুই বিভাগেই ফ্লপ বাংলাদেশ।
যদিও হারের আগেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। বিস্ফোরক সব ব্যাটার আর দুর্দান্ত বোলিং ইউনিট নিয়ে ইংলিশরাও দারুণ একটি দল, এমনকি উপমহাদেশেও। যদিও অনেকেরই ধারণা, তামিম-সাকিব বিরোধের খবরটি সিরিজ শুরুর দুদিন আগে প্রকাশ্যে না এলে হয়তো আরো ভালো পারফর্ম করত টাইগাররা।