1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে দাঁড়াবে ৫.২ শতাংশে: বিশ্বব্যাংক

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৯৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নেমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে ‘স্ট্রং স্ট্রাকচার রিফর্ম ক্যান হেল্প বাংলাদেশ সাসটেইন গ্রোথ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক, বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

বিশ্বব্যাংক বলছে, মূল্যস্ফীতির চাপে ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জিত হবে না। কমবে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে হ্যাভেন বলেন, অভ্যন্তরীণ অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে এবং সংস্কার বাস্তবায়নে গতি আসবে। তারপরও ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, কঠোর আর্থিক অবস্থা, আমদানির ওপর বিধিনিষেধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি চলতি বছরে কমবে।

তিনি বলেন, পরবর্তী অর্থবছর ২০২৩-২৪ এ প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিশ্বের দেশগুলোকে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে বাংলাদেশে কাঠামোগত সংস্কারের যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, তাতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখায় পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক।

বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়ন (রিজার্ভ) ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগগুলো কাজে আসেনি। এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক। তিনি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য বহুমুখী করার পরামর্শ দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির আয়ের ৮৩ ভাগই তৈরি পোশাক। রপ্তানি বাণিজ্য টেকসই করতে হলে একপণ্য নির্ভরতা থেকে বের এসে পণ্য বহুমুখী করার উদ্যোগ নিতে হবে।

সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, মূল্যস্ফীত কিছুটা কমেছে বলে মনে হলেও এখনো প্রধান সমস্যা উচ্চ মূল্যস্ফীতি। শিগগিরই কমবে, এমন আশা করা যায় না। আন্তর্জাতিক বাজারের উচ্চ পণ্যমূল্য, পণ্য আমদানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনিশ্চয়তা এবং দেশে জ্বালানি ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়া এর পেছনে মূল ভূমিকা পালন করবে।

আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে ডলারের চাহিদা কমানোর উদ্যোগ সঠিক ছিল না বলে মত দেন ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আমদানি কমিয়ে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে। আবার ডলারের একাধিক মূল্য নির্ধারণ করে নিয়ে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণ ইতিবাচক কোনো ফল দেয়নি। যখনই বিনিময় হার ক্রমান্বয়ে বাজারের হাতে ছাড়া হয়েছে তখন প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু হয়েছে।

তিনি ডলারের বিনিময় হার বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..