1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজার খানদানী রেস্টুরেন্টে এক কিশোরকে পিঠিয়ে হত্যা: আটক ১, হত্যাকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩
  • ৭৮৯ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার শহরের কুসুমভাগ এলাকার খানদানী রেস্টুরেন্টে তানিম আহমদ (১৪) নামের এক কিশোর কর্মচারীকে নির্মম ভাবে পিঠিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত জালাল (৪৫) নামের ওই রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে জনতা। রেস্টুরেন্টের কর্মচারী,স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান শনিবার রাত ৮ টার দিকে ওই ঘটনাটি ঘটে। ওই রেস্টুরেন্টের অপর কর্মচারী পানদোকানের দায়িত্বে থাকা বদরুল ওরফে মোল্লা (৪০)‘র ছোট ভাই আজিজুলের (১৮) সাথে ঢং ও কথা কাটাকাটির তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে কাঠের টুকরোযুক্ত ঝাড়– দিয়ে নির্মম ভাবে পেঠায় বদরুল মোল্লা। তার বেদড়ক পিঠুনীতে গুরুতরও আহত হয় তানিম। জানা যায় কয়েক দিন আগে নিহত তানিম এবং ওই রেষ্টুন্টের কর্মচারী জালালের মধ্যে কাজের সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় তানিমের হাতে থাকা বেøড দিয়ে জালালের হাতে আচড় দেয়।

 

এই ঘটনা তাক্ষণিক মিমাংসা করে দেওয়া হলেও ক্ষোভ থেকে যায় জালালের। ওই ঘটনায় ক্ষিপ্ত জালাল পান দোকানীর সাথে আতাত করে তাকে শায়েস্তা করতে না ফন্দি আটে। শনিবার রাতে তারই ইন্ধনে সুযোগ পেয়ে তুচ্ছ ঘটনায় অপর কর্মচারীর নির্মম পেটুনীর শিকার হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তানিম। তানিমের সহকর্মীরা দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন মারধরের পর তানিমকে হাসপাতালে না নিয়ে রেস্টুরেন্টের পাশের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। এসময় অন্যসহকর্মীরা তার কান্না ও ঘুংরানোর আওয়াজ পেয়ে খোঁজ নিয়ে এই ঘটনা তার পরিবার ও অন্যদের জানাতে চাইলে বাঁধা দেয় মোল্লা বদরুল তার ভাই আজিজুল,কর্মচারী জালাল ও ম্যানেজারসহ অন্যরা। তখন তার অবস্থার অবনতি হলে বাধ্য হয়ে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেলারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবারও ওই কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন ম্যানেজার ও ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অন্যকর্মচারীদের সর্তক করে তানিমের অভিভাবক কিংবা অন্য কাউকে ফোন করতেও বারণ করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে রোববার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে পরিবারের সদস্যরা রেষ্টুন্টের একটি কক্ষ থেকে তানিমকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তানিমের মৃত্যুর সংবাদ বিকেল সাড়ে ৩টা দিকে ছড়িয়ে পড়লে রেস্টেুরেন্টের অন্যন্য কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। ওই রেস্টেুন্টে ১৮ জন কর্মচারীর মধ্যে অধিকাংশই বয়সে কিশোর। ওই ঘটনার বক্তব্য নিতে ম্যানেজার বা মালিক পক্ষ কাউকে মুঠোফোনে বা রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়নি। নিহত তানিমের বাড়ি জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রায় পরাণ গ্রামে। তার পিতা মো: মুহিব মিয়া। ৩ ভাই ও বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। অভাব অনটনের সংসার তার আয় রোজগার দিয়েই চলত বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। কিশোর তানিমকে রেস্টুরেন্টের সামনেই বিলাপ করছেন তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। তারা ঘটনার জড়িত খুনিদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ঘটনার সাথে জড়িত বদরুল মোল্লা ও আজিজুলের বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শমসেরগঞ্জ,রাউৎগাঁও উত্তর নারায়ণ পাশা। তবে জালালের ঠিকানা তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মশিউর রহমান দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন জালাল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে ও যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..