বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটার: কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালি ক্যাম্প থেকে কাজের সন্ধানে মৌলভীবাজারে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গ পরিবার। মৌলভীবাজার পুলিশ তাদের আটক করেছে ১৪রোহিঙ্গা নাগরিকদের মধ্যে নারী-পুরুষ এবং শিশুরাও রয়েছে।
আজ ২জুলাই ১১টায় মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সদর মডেল থানায় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিংয় করেন। তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ বশির আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে লকডাউন প্রতিপালনে মোবাইল কোর্ট ও কিলো ডিউটি পালন করছিলেন। এসময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রোহিঙ্গা নাগরিদের সন্দেহ হলে তাদেও আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত রোহিঙ্গারা তাদের পরিচয় দিয়েছে। তারা হলো মো. হামিদ হোসেন(৫০),পিতা মৃত নাজির হোসেন, মাতা মৃত রাশিদা, হারুন (১৮),জুনায়েদ(১৪), ওসমানগনি(১০), ওমর ফারুক (১৬মাস), নূর বেগম(৯), নূর কায়দা(৭),সাদিয়া ফাতেমা(৩) সর্বপিতা হামিদ হোসেন ঠিকানা ৮নংক্যাম্প কুতুপালং ব্লক ৫৯,এরা সবাই একই পরিবারের। শফিক (২২), পিতা কামাল, মিনারা(২০), স্বামী শফিক, রিয়াজ (৫মাস), (তিনজন এক পরিবারের সদস্য), ৭নং কুতুপালং ক্যাম্প (ব্লক ঊ ৩৮) ১২। আজিজুল হক (২৫) পিতা লতুমিয়া, ৮ নং কুতুপালং ক্যাম্প (ব্লক ৫৮) ১৩। নূর হাসান (৩১), পিতা মৃত আবু তাহের ৮ কুতুপালং (ব্লক ৩৮),সানালি (৫১) পিতা মৃত আ. হবি, বালু খালি ৮টি ক্যাম্প, (ব্লক অ ৩২)।
এদের মধ্যে ১১জন দুটি পরিবারের সদস্য। অন্য তিনজন তাদের সাথের। সবাই কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ও বালুখালি শরনার্থী শিবির থেকে এসেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আটককৃত রোহিঙ্গারা কৌশলে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে এসেছে। এরপর কয়েকদিন চট্রগ্রামে অবস্থান করে কাজের সন্ধান চালিয়েছেন। সেখানে মানুষ তাদের কাজ পাওয়ার জন্য সিলেটের দিকে আসার জন্য বলেছে। গত ২৭ জুন চট্রগ্রাম থেকে এই ১৪ জন কাজের খোঁজে মৌলভীবাজার আসেন। কাজ না পেয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় অন্যত্র কাজের সন্ধানে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ সন্দেহমূলক তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা যায়। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১০জন পুরুষ ৪ জন নারী। আটককৃত রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর কাযক্রম প্রক্রিয়াধীর আছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ ইয়াছিনুল হক।