সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: গত ২০ শে জুন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহ নিজামুল ইসলাম অপু কে রাতের অন্ধকারে একা পেয়ে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এবং মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় পথচারীরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজার নিয়ে ভর্তি করে। শাহ নিজামুল ইসলাম অপু মৌলভীবাজার জেলার মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন কবিরাজি গ্রামের শাহ আব্দুল মন্নাফ শিতু মিয়ার ছেলে। জানা যায়, শাহ নিজামুল ইসলাম অপু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব জুবের আহমেদ ও মেম্বার পদপ্রার্থী সেলিম আহমদ এর বিপক্ষে কাজ করায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার সেলিম আহমদ ও তার সহযোগীরা এ হামলা চালায়। এ ব্যাপারে শাহ নিজামুল ইসলাম অপু এর পিতা শাহ আব্দুল মন্নাফ শিতু মিয়া জানান, গত ৮নং কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব জুবের আহমেদ নৌকা প্রতীক ও আমাদের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ ঘুড়ি প্রতীক এর বিপক্ষে আমার ছেলে কাজ করে, যার কারণে আজ নির্বাচনের ছয় মাস পর তারা আমার ছেলেকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা করে গুরুতর আহত করে। হামলার স্বীকার শাহ নিজামুল ইসলাম অপু এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শহর থেকে রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় মোটর সাইকেল যুগে মৌলভীবাজার শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে রংদাস এলাকায় আসামাত্র মোটর সাইকেল চালানো অবস্থাতেই হেড লাইটের আলোয় দেখতে পাই যে, আমাদের বর্তমান ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ সামনের দিক থেকে দৌড়ে এসে আমাকে হকিস্টিক দিয়ে মাথায় আঘাত করতে চাইলে উক্ত আঘাত লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া আমার কাঁধে পরলে সাথে সাথে আমি মোটর সাইকেল থেকে পড়ে যাই। তখন বর্তমান ইউপি সদস্যের ভাই রাহীন আহমদ, মাহফুজুর রহমান রাফি, রিংকু মিয়া, সামাদ আহমদ দের সাথে আরো দুই/তিন জন লোক ছিল, অন্ধকারে তাদের মুখ না দেখায় চিনতে পারিনি। তারা আমাকে ঘেরাও করে তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করিয়া গুরুতর আহত করে মৃত ভেবে চলে যায়। পথচারীরা আমাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজার চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসাধীন আছি। উক্ত ঘটনায় শাহ নিজামুল ইসলাম অপু মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করিতে গেলে হামলাকারীরা মৌলভীবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের আওয়ামীলীগ নেতার ঘনিষ্ট লোক হওয়ায় কর্মীদের নাম শুনে মামলা গ্রহন করে নাই।