1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

লকডাউন বাড়ালে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২ মে, ২০২১
  • ২৪৭ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: লকডাউন দেওয়ার ফলে দেশে ৯৯ শতাংশ রোগীর জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বিভিন্ন মেয়াদী প্রভাবে অনেক লোক ইতোমধ্যে মারা গেছেন। আরো মারা যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লকডাউন বাড়ালে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রোববার (২ মে) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জনস্বাস্থ্যে লকডাউনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

সেমিনারে লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক বিশিষ্ট অনুজীববিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ মঞ্জুরুল করিম। তিনি বলেন, ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস আসার পর আমাদের দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের নন-কোভিড রোগীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি ডেকে এনেছে। ২০২০ সালে দেশে মোট মৃত্যু ছিলো ৮ লাখ, কিন্তু করোনায় মৃত্যু ঘটে মাত্র ৮ হাজার লোকের, যা মোট মৃত্যুর মাত্র ১ শতাংত। এ ১ শতাংশ  মৃত্যুকে হ্রাস করতে গিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করে বাকি ৯৯ শতাংশ মৃত্যুকে তরান্বিত করা হয়েছে। বিশেষ করে, লকডাউন দেওয়ার ফলে এই ৯৯ শতাংশ রোগীর জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার বিভিন্ন মেয়াদী প্রভাবে অনেক লোক ইতোমধ্যে মারা গেছে এবং আরো মারা যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। যেমন, বিবিএসের মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২০ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৪০৮ লোক, যা ২০১৯ এর তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। ব্রেন স্ট্রোকে মারা যায় ৮৫ হাজার ৩৬০ জন যা ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। ২০২০ সালে কিডনি জটিলতায় মারা যায় ২৮ হাজার লোক, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩ গুন।

কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিনগুন হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বিবিসির কাছে এক সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা নিজেও স্বীকার করেছেন, করোনা ও লকডাউনই এ মৃত্যু বৃদ্ধির মূল কারণ।  তিনি আরো বলেন, এছাড়া লকডাউনের কারণে মানুষের আর্থিক অসংগতি বৃদ্ধি পায়, যার কারণে মানুষ জরুরি ওষুধপত্র ক্রয় ও পরীক্ষা (স্ক্রিনিং), অপরেশন ও চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সামর্থ হারাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে নিকট ভবিষ্যতে দেশে মৃত্যুহার মারাত্মক আকারে বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মূলত বিজ্ঞান মতে, চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যের ওপর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তার সেফটি ও ইফিকেসি (কার্যকরিতা) পরিমাপ করে, সে অনুসারে পদক্ষেপ নিতে হয়। সেটা শুধু ১ শতাংশ নয়, বরং শতভাগ জনগণের ওপর পরিমাপ করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা না করে, তাড়াহুড়া করে লকডাউন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার মাশুল এখন জনস্বাস্থ্যে ভয়ঙ্কর আকারে দৃশ্যমান হচ্ছে।

সাইন্স জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ সাইন্স জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, করোনা ভাইরাস বায়ুবাহী। এর আগেও পৃথিবীর ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী প্রমাণ পেয়েছেন, করোনা বাতাসে ছড়ায়। করোনা ভাইরাস যদি বাতাসে ছড়ায় তবে, করোনা দমন করতে লকডাউনের কোনো ভূমিকা নেই। কারণ লকডাউন দিয়ে মানুষ আটকে রাখা যায়, কিন্তু বাতাস আটকে রাখা যায় না।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..