রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটার: বর্তমান করোনার মহামারীতে যখন সারাদেশে অভাব অনঠণ আর কষ্টের স্বীকার হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তেমনি শিল্পীরাও পিছিয়ে নেই তাতে। গত বছর থেকে এই পর্যন্ত এই করোনার মহামারীর স্বীকার হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির শিল্পী, মাথা খারা করে দাঁড়াবার অবস্থাও হয়নি অধিকাংশ শিল্পীদের। সরকারিভাবে নামমাত্র কিছু সাহায্য পেলেও বঞ্চিত ৮০শতাংশেরও বেশী শিল্পীরা। যে সমাজকে সংস্কৃতি কর্মীরা বিভিন্নভাবে নিয়োজিত থেকে সুষ্ঠ সমাজ ব্যবস্থায় অবদান রাখছে,দেশীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে নিজের যোগ্যতা আর অক্লান্ত পরিশ্রমে যারা দিন রাত নিয়োজিত, যারা সরকারি, বেসরকারি, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জায়গায় বিনোদনের মূল উৎস্য হিসেবে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। আজ ৮মে মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে বিতরণকৃত প্যাকেটে শিল্পীদের বরাদ্ধকৃত দ্রব্যসামগ্রী পেয়ে খুশি হতে পারেননি অনেকেই। দূর থেকে আগত শিল্পীদের বক্তব্যে জানা যায়,তাদের যাতায়াত ভাড়াটাও উষল হয়নি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন- ঘরে ডাল-ভাত খেলেও আমার পরিচয় আমি একজন শিল্পী। ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচার্যাল অফিসার জ্যোতি সিনহা সহ শিল্পকলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচার্যাল অফিসার জ্যোতি সিনহা বলেন- জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ১শত জন লোকের তালিকা দিয়েছি। সেই বরাদ্ধের ভিত্তিতে আজ বিতরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান- বিষয়টি দুঃখজনক। অগ্রণী ব্যাংক এর মাধ্যমে প্রাপ্ত সহযোগীতায় জেলা প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করেছে। লকডাউনের মধ্যে দুর দুরান্ত থেকে আগত শিল্পীদের যাতায়াত খরচ ২০০/৩০০টাকা। এর মধ্যে কমবেশী ৭শত টাকা ত্রান পেয়েছে ত্রান প্রত্যাশী শিল্পীরা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আসলে টাকার অংক বিচার করে ত্রান দেওয়া হয়নি।