শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমণির করা মামলায় গ্রেফতার নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনকে মাদক মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডে চায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমণির করা ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। আসামিদের মঙ্গলবার (১৫ জুন) আদালতে পাঠানো হবে।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নাসিরসহ পাঁচজনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে চেয়েছে পুলিশ। অপর আসামিরা হলো- তুহিন সিদ্দিকী অমি, লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।
এর আগে সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
অভিযান শেষে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা (যেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে) পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার অমির বাসা। পরীমনির সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে নাসির ওই তিন নারীকে নিয়ে এ বাসায় পালিয়ে ছিলেন। মাদক রাখার অভিযোগে সেই তিন নারীকেও আমরা গ্রেফতার করেছি।’
নাসির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নাসিরের বিরুদ্ধে আগেও মাদক এবং নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। নানা অভিযোগে তাকে উত্তরা ক্লাব থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে বলে জেনেছি। কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমরা সেগুলোর তদন্ত করব।’
এর আগে রবিবার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে অভিযোগ তোলার পর রাতে সাংবাদিকদের বনানীর বাসায় ডেকে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি।
এর পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বনানীর বাসায় সাংবাদিকদের কাছে ‘নির্যাতনকারীদের’ নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন পরীমনি।
সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি বলেন, ‘গত বুধবার (৯ জুন) রাত ১২টায় আমাকে বিরুলিয়ায় নাসির উদ্দিন মাহমুদের কাছে নিয়ে যায় অমি। ওই সময় নাসির নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে নাসির আমাকে মদ খেতে অফার করেন। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। তার পর আমাকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা করেন। অমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’