শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট::প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যখন স্টারডমের গোড়ার দিকে , সেই সময় তার কোনো বডিগার্ড ছিল না। এমনকি দীর্ঘদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসে করে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ আসার পর সেখান থেকে ট্যাক্সিতে টালিগঞ্জের স্টুডিওয় আসতেন প্রসেনজিৎ। সেই সময় তাঁর উপার্জিত অর্থে চলত পরিবারের খরচ। ফলে ছিল না গাড়ি কেনার টাকা। তবে সময় যত এগিয়েছে, ততই প্রসেনজিৎ-এর জীবনে এসেছে পরিবর্তন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে গ্রামে ও শহরে সমানভাবে জনপ্রিয় প্রসেনজিৎ। শুধুমাত্র ‘মাস ফিল্ম’ নয়, অন্য ঘরানার ফিল্মেও প্রসেনজিৎ-এর যাতায়াত অবাধ। জনপ্রিয়তা বাড়ার ফলে সহজেই মবড হয়ে যান প্রসেনজিৎ। এই কারণে তাঁকে রাখতে হয়েছে নিজস্ব বডিগার্ড। সাধারণতঃ এই ধরনের বডিগার্ডদের বাউন্সার বলা হয়। তবে প্রসেনজিৎ-এর এই ছায়াসঙ্গীও যথেষ্ট নজরকাড়া।
বিগত পনের বছর ধরে এই মানুষটি রক্ষা করছেন প্রসেনজিৎ-কে। একরকম তারকার পরিবারের সদস্য হয়ে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ-এর বডিগার্ড রাম সিং। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার এই যুবক নিজের কাজে যথেষ্ট দক্ষ হলেও বিনয়ী। মাত্র বারো বছর বয়সে অযোধ্যার বাসিন্দা রাম বাবার সাথে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। সেই সময় থেকেই যথেষ্ট স্বাস্থ্যবান ছিলেন তিনি। পরিবারের আর্থিক সমস্যার কারণে রাম পড়াশোনা করতে করতেই বাউন্সারের কাজে যোগদান করেন। প্রথম উপার্জন ছিল মাত্র দেড়শো টাকা। শাহরুখ খানের একটি ইভেন্টে বাউন্সার হিসাবে কাজ করে এই অর্থ উপার্জন করেছিলেন রাম। শাহরুখের সাথে দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও তা হয়ে ওঠেনি। তবে সেদিন উপার্জিত দেড়শো টাকা থেকে মায়ের হাতে একশো টাকা তুলে দিয়েছিলেন রাম।
এরপর টলিউডে বিভিন্ন ইভেন্টে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। কর্মসূত্রে দেবের সাথে পরিচয় হয় তার। লাগাতার দুই বছর দেবের সাথে কাজ করার পর রাম কাজ পান প্রসেনজিৎ-এর কাছে। দীর্ঘদিন পনের বছর কেটে গেছে ‘স্যারজী’ ওরফে প্রসেনজিৎ-এর সাথে। ব্যস্ত তারকার সাথে তাঁর ছায়াসঙ্গীও সমান ব্যস্ত। ফলে অনতিদূরে বাটানগরে রামের পরিবার থাকলেও যথেষ্ট কম সময় তাঁদের দিতে পারেন রাম। পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রসন্তান।
শোনা যায়, প্রসেনজিৎ-এর বডিগার্ড হিসাবে রামের বেতন বার্ষিক আশি লক্ষ টাকা। তবে শুধুমাত্র বডিগার্ড নয়, প্রসেনজিৎ অভিনীত ‘জ্যেষ্ঠ পুত্র’-এ রাম অভিনয় করেছিলেন দেহরক্ষী রাজুর ভূমিকায়। ভবিষ্যতে এই ধরনের আকর্ষণীয় প্রস্তাব পেলে আবারও ক্যামেরার সামনে আসতে চান রাম।