মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রাম থেকে মামলার পালাতক আসামি শরিফ মিয়াকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। মুমূর্ষ অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। বুধবার( ৩১ জানুয়ারী) শেরপুর গ্রামে এঘটনাটি ঘটে। শ্রীমঙ্গলের মাজদিহি গ্রামের পূর্বে ঘটে যাওয়া খুনের ঘটনায় বদলা হিসাবে মামলার পালাতক আসামী শরিফ মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করেছে। জানাযায়, দীর্ঘ দিন ধরে ভাই শাহজান মিয়ার সাথে শরিফ মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে মরামারির ঘটনার মামলায় শরিফ মিয়া ও তার পুত্র তারেক মিয়া জেলে যায়। তারেক মিয়া জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসে চাচা শাহজান মিয়ার সাথে তার মা বোনকে হেনস্থা করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাচা সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে তারেক। এক পর্যায়ে চাচাত্ব বোন শারমিন আক্তার ঝগড়া থামাতে এলে ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু ঘটে। এব্যাপারে চাচা শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় হত্যা ও ধর্ষন মামলা করেন। পুলিশ আসামি ধরতে গিয়ে বাড়িতে তাল্লাশি করে ইয়াবা ট্যাবলেট ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মাদক ও অস্ত্র মামলা করে। এই মামলায় তারেক ও শরিফ মিয়া উভয়ে পালাতক ছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা এড়াতে শরিফ মিয়া কুলাউড়া উপজেলার শেরপুর গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ী আশ্রয় নেন। ঘটনার দিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরা হয়নি। তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে ফেলে যায়। সকালে ছড়ার পাশে গরু দিতে গিয়ে গ্রামের শাহীন মিয়া নামক এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় জানালে মানুষ থাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শেরপুর গ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, শরিফ মিয়া তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলে। তিনি বাড়ির ভিতর থেকে নিহত শরিফ মিয়া বাহির হননা। দু’ দিন পুর্ব শাহজান মিয়া ও তার ছেলে সাহেদ মিয়াকে তাদের আশপাশে ঘুরতে দেখেছেন। তাই গ্রেফতার এড়াতে বৃহস্পতিবার এখান থেকে চলে যাওয়ার কথা ছিল তার ।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, নিহত শরীফ মিয়া মামলার পালাতক আসামি ছিলেন। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার মোটিব বলা যাবে। এখন বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি পরবর্তীতে এই হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।