বড়লেখা প্রতিনিধি:বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুরের নাপিতখাই গ্রামের এক গৃহবধুর শ্লীলতাহানী করতে ঘরে ঢুকার অপচেষ্টা চালায় স্থানীয় লম্পট যুবক রায়হান আহমদ। গৃহবধুর চিৎকারে প্রতিবেশিদের ধাওয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কায় তার রক্তাক্ত জখম হয়। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসে প্রবাস ফেরত ও ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়েরে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার নাপিতখাই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে রায়হান আহমদ (২৯) গ্রামের এক সাবেক শিক্ষকের স্ত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। শ্লীলতাহানীর উদ্দেশ্যে প্রায়ই গৃহবধুর ঘরে ঢুকে যেত। ইতিপূর্বে একাধিকবার মূচলেকায় রক্ষা পায় লম্পট রায়হান আহমদ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার রায়হানের অসামাজিক কার্যকলাপের বিচার সালিশ করেন। গত ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে সে ওই গৃহবধুর বসতঘরে প্রবেশের অপচেষ্টা চালায়। ভোক্তভোগি গৃহবধু ও তার শিশু সন্তানদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা রায়হানকে ধাওয়া করেন। বাড়ির কলাপসেবল গেট টপকিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সামনের বৈদ্যুতিক খুটিঁর সাথে ধাক্কা লেগে তার রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনার দুইদিন পর চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসে সে পূর্ব শত্রুতার জেরে শাহবাজপুর বাজারের ব্যবসায়ি ইছমাইল হোসেন, প্রবাস ফেরত আব্দুল হক, জামিল আহমদ ও ইউসুফ হোসেনের বিরুদ্ধে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছে। আদালত মামলাটি এফআইআর করার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসি মামলাটির এফআইআর আদালতে প্রেরণ করেছেন।

সরেজমিনে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ, ইউপি সদস্য কবির আহমদ, স্থানীয় বাসিন্দা ইমন আহমদ, করেছ আহমদ, আব্দুল মতিন, আব্দুন নুর প্রমুখ জানান, রায়হান আহমদ রাতে অসামাজিক কাজের উদ্দেশ্যে নাপিতখাই গ্রামের সাবেক শিক্ষক শফিক উদ্দিন মাষ্টারের বসত ঘরে প্রবেশের চেষ্টাকালে হাতে-নাতে আটক হয়। দীর্ঘদিন ধরে সে শিক্ষকের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। পরে পালানোর সময় পিলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে আহত হয়। সে একজন নারী লিপ্সু, লম্পট ও দুশ্চরিত্র প্রকৃতির লোক। ইতিপূর্বে একাধিকবার অসামাজিক কাজে আটক হয়ে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সুচলেকা দিয়েছে। এখন শুনছি সে নাকি এলাকার ব্যবসায়ি ও প্রবাসীদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা চেষ্টার মামলা দিয়েছে।

এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত রায়হান আহমদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বারবার তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকায় গিয়েও তাকে না পাওয়ার তার বক্তব্য মিলেনি।