1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

অজিদের কাছে টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ কিউইরা

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
  • ৯৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফলাফলটা অজিদের ৩, কিউইদের ০। সাদা বলের সেই ফরম্যাটে ধবলধোলাইয়ের পর টেস্টটা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে নিউজিল্যান্ডের সেই স্বপ্নে অর্ধেক ভাটা পড়ে ওয়েলিংটন টেস্ট হেরে। স্বাগতিকদের যেন শেষ ভরসা ছিল ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট, মান বাঁচানোর সঙ্গে সিরিজও। সেখানে চতুর্থ দিনের শুরুতেও ম্যাচ ঝুলে ছিল স্বাগতিকদের দিকেই। ২৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮০ রানেই নেই অজিদের ৫ উইকেট। এক যুগ পর সেই ‘ঐতিহাসিক’ টেস্ট জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল টিম সাউদির দল। তবে সেই স্বপ্নে বাকি অর্ধেক বাঁধা দিল মার্শ-ক্যারি জুটি। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।

এতে ২-০ ব্যবধানে জিতে টেস্টেও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের হোয়াইটওয়াশ করলো প্যাট কামিন্সের দল।

ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় দিনেই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে অজিরা। জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৭৯ রান। কিউই পেসার হেনরি-সিয়ার্সদের তোপের মুখে ৩৪ রানেই ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার চারজন টপ অর্ডার ব্যাটার। দিনের বাকি সময়ে চাপ সামলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৭ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।

চতুর্থ দিনের শুরুতে ফের ধাক্কা খায় অজিরা। দিনের একদম শুরুতেই ট্র্যাভিস হেডকে ফেরান কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। স্কোরবোর্ডে তখন ৫ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৮০! এই পরিস্থিতিতে জয়ের পাল্লা ঝুঁকে যায় নিউজিল্যান্ডের দিকে। এরপরই সেখানে নিজেদের ব্যাটিং নৈপুণ্য, দৃঢ়তা এবং হার না মানার মনোভাব দেখানো শুরু করেন মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারি। তাদের ব্যাটে ভর করেই জয়ের দুয়ারে পৌঁছাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। তারা দুজনে গড়েন ১৪০ রানের দুর্দান্ত জুটি।

লক্ষ্য তাড়ায় আরও একবার চাপে পড়ে প্যাট কামিন্সের দল। ম্যাচের একটা সময় এমন আসে যখন অজিদের দরকার আরও ৫৯ রান, এদিকে কিউইদের দরকার ৩ উইকেট। সেই সময়টায় কামিন্সকে নিয়ে বাকি পথ দাপটের সঙ্গে পাড়ি দেন ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ক্যারি ছিলেন ৯৮ রানে অপরাজিত। ততক্ষণে সেঞ্চুরির আক্ষেপ ভুলে জয়টা ঠিকই তুলে এনে দিয়েছেন দলকে।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে সিরিজে আবারও ছন্নছাড়া ব্যাটিং প্রদর্শন করে স্বাগতিকরা। মাত্র ১৬২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। সেখানে অজিদের হয়ে ফাইফার পান জশ হ্যাজলউড। জবাবে অজিদের প্রথম ইনিংসের শুরুটাও ছিল মলিন। কিউইদের হয়ে ম্যাট হেনরি একাই নেন ৭ উইকেট। তবে রানের ফেরার ইনিংসে মারনাস লাবুশেনের ৯০ রানের ইনিংসে চেপে আড়াইশ পেরিয়ে ২৫৬ রানের পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।

পরে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতা এড়িয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কিউই টপ অর্ডার ব্যাটারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩৭২ রানে ভালো সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। এতেই লক্ষ্যটা দাঁড়িয়েছিল ২৭৯ রানের।

লক্ষ্য তাড়ার ইনিংসে ১২৩ বলে ৯৮ রানের নান্দনিক ব্যাটিং ছাড়াও ফিল্ডিংয়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন ক্যারি। টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে উইকেটের পেছনে মোট ১০টি ক্যাচ নিয়েছে তিনি। এতেই ম্যাচসেরার খেতাব জেতেন তিনি। এদিকে সিরিজের দুই ম্যাচে দারুণ বল করা কিউই পেসার ম্যাট হেনরি ১৭ উইকেট শিকারে জেতেন সিরিজসেরার খেতাব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৬২ (৪৫.২ ওভার); (ল্যাথাম ৩৮, হেনরি ২৯; হ্যাজলউড ৫/৩১, স্টার্ক ৩/৫৯)

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২৫৬ (৬৮ ওভার); (লাবুশেন ৯০, স্টার্ক ২৮; হেনরি ৭/৬৭)

নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩৭২ (১০৮.২ ওভার); (রাচিন ৮২, ল্যাথাম ৭৩, মিচেল ৫৮, উইলিয়ামসন ৫১; কামিন্স ৪/৬২, লায়ন ৩/৪৯)

অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ২৮১/৭ (৬৫ ওভার); (ক্যারি ৯৮*, মার্শ ৮০; সিয়ার্স ৪/৯০, হেনরি ২/৯৪)

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..