রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে প্রতিযোগিতা করলেও সিলেট টেস্টে পাত্তা পায়নি টাইগাররা। প্রথম টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৮০ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে ১৮৮ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নেমে সফরকারীরা ৪১৮ রান সংগ্রহ করলে টাইগারদের লক্ষ্য দাঁড়ায় পাহাড় সমান ৫১১ রান। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আশা যাওয়ার মিছিল শুরু করে স্বাগতিকরা। দলীয় ৪৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে টাইগাররা। চতুর্থ দিনে পাঁচ উইকেটে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৪৬৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসের চতুর্থ বলে খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ৫ বলে ৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক শান্ত। জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি জাকির। ২২ বলে ১৯ রান করেন তিনি। এরপর উইকেট মিছিলে যোগ দেন শাহাদত হোসেন দিপু (০) এবং লিটন দাস (০)। শেষ পর্যন্ত মুমিনুল হক ২৯ বলে ৭ রান এবং তাইজুল ১৪ বলে ৬ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। রোববার (২৪ মার্চ) ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে লঙ্কানরা। এ সময়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ২৩ এবং ২ রানে বিশ্ব ফার্নান্দো অপরাজিত ছিলেন। তবে স্কোরবোর্ডে ৭ রান জড়ো করতেই ধাক্কা খায় সফরকারীরা। দলীয় ১২৬ রানের মাথায় ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনে দেন খালেদ। এই পেসারের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে চেয়েছিলেন ফার্নান্দো। তবে তা ভাগ্য সহায় হয়নি। স্লিপে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মিরাজ। ফের ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। প্রথম ইনিংসের মতো উইকেটে খুঁটি গেড়ে বসেছেন সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। সপ্তম উইকেট বড় জুটি গড়েন সিলভা ও কামিন্দু। তাদের ব্যাটে ভর করে ৩০০ ছাড়ায় লঙ্কানদের লিড। ১৬৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি সিলভা। এরপর আট রান যোগ করতেই মিরাজের বলে ক্যাচ আউট হন এই লঙ্কান অধিনায়ক। অপর প্রান্তে ১৭১ রানে সেঞ্চুরির দেখা পান কামিন্দু মেন্ডিস। প্রাবথ জয়সুরিয়া (২৫) এবং লাহিরু কুমারা শূন্য রানে আউট হলে ব্যাট চালাতে থাকেন কামিন্দু। শেষ পর্যন্ত ২৩৭ বলে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলে এই বাঁহাতি ব্যাটার আউট হলে ৪১৮ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। এতে পাহাড় সমান ৫১০ রানের লক্ষ্য পায় টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে চার উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাহিদ রানা এবং তাইজুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম এবং খালেদ আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।