1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ৬জনের মৃত্যু: শেষ প্রদীপটাও নিভে গেল!

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪
  • ১৮৫ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরের উপর পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও তিন ভাইয়ের মৃত্যুর পর দগ্ধ শিশু সোনিয়া সুলতানা ও (৮) মারা গেছে। ২৭ মার্চ বুধবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সে মারা যায়। সোনিয়া উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ নিয়ে এক বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ৬ সদস্যের পুরো পরিবারের।

 


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাকপ্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান দিনে ঠেলা চালিয়ে এবং রাতে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরীর কাজ করে সংসার চালাতেন। নিজের জমি না থাকায় পরিবার, ভাইবোনদের রেখে টালিয়াউরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মইন উদ্দিনের বাড়িতে থাকতেন। ছয়-সাত বছর আগে একই ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে রহমত আলীর টিলা বাড়িতে ঘর তৈরি করেন। সেই ঘরে ছিল না বিদ্যুতের সংযোগ। তবে ঘরের ওপর দিয়ে আগে থেকেই পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের লাইন টানানো ছিল। মঙ্গলবার ভোরে বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতের পর পাশের খুঁটি থেকে একটি তার ছিঁড়ে ফয়জুরের ঘরের ওপর পড়ে। এতে টিনের চালের ঘরটি বিদ্যুতায়িত হলে ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য মারা যান। বুধবার ভোর ৪টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সোনিয়া। ফয়জুরের ঘরে বিদ্যুৎ না থাকলেও বিদ্যুতের কারণেই ছারখার হতদরিদ্র এ পরিবার। সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, সোনিয়ার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। প্রথমে তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছি। সিলেট ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র দেব বলেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রাতেই ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোআর আলম, জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। আমার মনে হয় একই পরিবারের এক সাথে ৫ জনের মৃত্যু মৌলভীবাজার জেলায় একটি বড় ঘটনা। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। থানা পুলিশ ও বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক সভা করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে। নিহতদের পরিবারের একটি কন্যা সন্তান বেঁচে আছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মেয়েটিকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
পূর্বজুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন জানান, নিহত ফয়জুর রহমান একজন বাক প্রতিবন্ধী লোক ছিলেন। তিনি সহ তার পরিবারের পাঁচ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। পল্লী বিদ্যুতের আরও ঝুঁকিপূর্ণ লাইন মানুষের বাড়ীর উপর থেকে না সড়ানো হলে এ ধরনের আরো ঘটনা ঘটতে পারে। ফয়জুর রহমানের বড় মেয়ে সামিয়া বেগম হাজি ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে, মেজো মেয়ে সাবিনা বেগম নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে এবং ছেলে সায়েম গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলো।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..