শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা আসার পর থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যে জনস্রোত শুরু হয়েছিল, আজ সোমবার লকডাউনের মধ্যেও তা থেমে নেই।
গণপরিবহন না থাকায় বিড়ম্বনা মাথায় করেই ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে নানাভাবে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়ায় ভিড় করছে মানুষ। ফেরিতে গাদাগাদি করে তারা চলেছেন দক্ষিণের জেলাগুলোয়।
এদিকে, আজ সকালের দিকে যাত্রীদের চাপ কয়েকদিনের তুলনায় কম দেখা গেলেও ঘাট এলাকায় যানবাহনের আধিক্য রয়েছে। ঘাটজুড়ে পারাপারের অপেক্ষায় শত শত ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির সোমবার সকালে বলেন, ভোর থেকেই ভিড় দেখা যাচ্ছে। ছোট যানবাহনে, এমনকি হেঁটে হেঁটে আসছে সবাই। গত দুই দিনের মতো ঘাটে আজও প্রচণ্ড চাপ রয়েছে।
যাত্রীর চাপে ঘাটে ভেড়া ফেরি থেকে গাড়ি নামাতেও সমস্যা হওয়ায় সকাল থেকে পন্টুনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গণপরিবহন না থাকায় বেশি খরচ আর কষ্ট করে ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় বসে থাকছেন তারা। লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে ঠাঁসা ভিড়ে দাঁড়িয়েই তারা রওনা পদ্মা পাড়ি দিয়ে ওপাড়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের দিকে রওনা হচ্ছেন তারা।
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, জনসাধারণ একেবারেই সচেতন না। তারা আন্তরিকও না।
ঘাটে চাপ ঠেকাতে সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও শিমুলিয়ার হিলশা মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সরকারি আদেশ অমান্য করেই চলছে নানা যানবাহন। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় শত শত গাড়ি।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি ব্যবস্থাপক আহাম্মদ আলী বলেন, ঘাটে আসা মানুষের যাকেই জিজ্ঞেস করি, সে-ই যুক্তি দেখায়। প্রয়োজনের কথা বলে। তাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা বেশি। ঘাটে যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষ আসতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সুমন দেব জানান, শিমুলিয়া ঘাটে ঢোকার সময় ও পল্টনে দুটি চেকপোস্ট রয়েছে, যেন গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে ফেরিতে উঠতে পারে। শিমুলিয়া ঘাটে ঢোকার আগে যাত্রীদের ভিড় সামলাতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের নিমতলা চেকপোস্টে গাড়ি ও যাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।