1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু বাংলাদেশের

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
  • ২৫ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট ::ভাগ্যকে রীতিমত সহায় করেই মাঠে নেমেছিলেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। অভিষেক ম্যাচে গুনে গুনে তিনবার ‘জীবন’ পেয়েছেন এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত তানজিদের ৪৭ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু করলো বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাসাকাদজা ও মাদান্দের ৭৫ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের পুঁজি গড়ে সিকান্দার রাজার দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভার ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান অভিজ্ঞ লিটন। রিচার্ড এনগারাভারের গুড লেংথের ডেলিভারি প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে লিটনের স্ট্যাম্পে।

এরপর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক শান্ত এবং ওপেনার তানজিদ। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৫ রান তোলে বাংলাদেশ।

ভালো খেললেও ৫৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন শান্ত। লুক জংওয়ের করা ইনিংসের দশম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন টাইগার দলপতি। কিন্তু ঠিকঠাক ব্যাটে না লাগায় শন উইলিয়ামসের হাতে ধরা পড়েন। এতে ১ বাউন্ডারিতে ২৪ বলে ২১ রানে ফেরেন শান্ত।

তবে তানজিদকে থামানোই যাচ্ছিল না। দুর্দান্ত দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অভিষেকেই হাঁকান ফিফটি। চারে নেমে তাওহিদ হৃদয়ও দারুণ কিছু শট খেলেছেন।

শেষ দিকে তানজিদ-হৃদয়ের ব্যাটে হেসেখেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ২৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের তুলে নেয় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ। অন্যপ্রান্তে ১৮ বলে ৩৩ রান করে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন হৃদয়।

এর আগে, টস জিতে বোলিংয়ে নেমে টাইগারদের হয়ে ইনিংসের শুরু করেন শরিফুল। তার ওভারে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক রাঙান জিম্বাবুয়ের ওপেনার জয়লর্ড গাম্বির। একই ওভারে আরও একটি চার হাঁকান এই ওপেনার। শরিফুলের হাফ ভলিতে মাপা শটে তুলে নেন ৮ রান।

তবে উদ্বোধনী জুটি থিতু হতে দেননি মেহেদী। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আরভিনকে পরাস্থ করেন। মেহেদীর দ্বিতীয় বলেই উড়ে যায় ওপেনার ক্রেগ আরভিনের অফ স্ট্যাম্পের বেলস। মাপা লেংথের বলে সামনে পায়ে একটু জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আরভিন। তবে ব্যাটে না পাওয়ায় রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

এরপর আক্রমণে এসেই ভেলকি দেখান ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার ফুল লেংথের সুইংয়ে রীতিমত খাবি খান অভিষিক্ত গাম্বি। শর্ট ফাইন লেগে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার।

ষষ্ঠ ওভারে জোড়া উইকেট হারায় সফরকারীরা। রান আউটের ফাঁদে পরে কাটা পড়েন ব্রায়ান বেনেট। ১৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন বেনেট।

এরপর ক্রিজে নেমেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সিকান্দার রাজাও। রোডেশিয়ানদের অধিনায়ককে টিকতে দেননি শেখ মেহেদি। তাকে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আর প্রথম স্লিপে কোনো ভুল করেননি লিটন। চোখের পলকে ১ উইকেটে ৩৬ থেকে ৪ উইকেটে ৩৬ রানে পৌঁছায় সফরকারীরা।

ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে ফের জোড়া উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

প্রথম বলে উইলিয়ামস এবং পরের বলেই বার্লকে ফেরান তাসকিন। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তারা। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও দেখেশুনে সেই বলটি ছেড়ে দেন লুক জঙ্গি।

৭ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। এরপর জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন মাসাকাদজা এবং মাদান্দে। টাইগার বোলারদের সামলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট খুইয়ে ১২৪ রানে থামে রোডেশিয়ানরা।

স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন এবং সাইফউদ্দিন। এ ছাড়া মেহেদীর শিকার দুই উইকেট।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..