বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। এই সময়ে অতীব জরুরি কিছু বিষয় বাদে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হবে কঠোরভাবে। তবে সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষায় আদালত থেকে কিছু কিছু সুবিধা পাবেন বিচার প্রার্থীরা। দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে শুরু করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকরা দেবেন সীমিত পর্যায়ের এসব সুবিধা। বিচারপ্রার্থীরা কী ধরনের সুবিধা পাবেন সেগুলো জানিয়ে আদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। বুধবার এ বিষয়ে পৃথক তিনটি আদেশ জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। এসব আদেশে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, চেম্বার আদালত, হাইকোর্ট বিভাগ, মহানগর ও জেলা জজ আদালতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আপিল বিভাগ থেকে যেসব সুবিধা পাবেন
১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগ ও চেম্বার আদালতের বিচারকাজ পরিচালিত হবে। এর মধ্যে আগামী ৬ ও ৭ জুলাই আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল শুনানি করা হবে। এসময় মামলার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও রেজিস্ট্রারের কাছে ইমেইলে তথ্য প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিরা, আইনজীবী, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিচারপ্রার্থীরা নিজ বাসা থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেবেন। ওই সময়ে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
খোলা থাকবে সুপ্রিম কোর্টের যেসব বেঞ্চ
লকডাউন চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনটি বেঞ্চ খোলা থাকবে। এর মধ্যে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চ শুনবেন অতীব জরুরি রিট ও দেওয়ানী মোশনসহ এ সংক্রান্ত জরুরি বিষয়গুলো। বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ শুনবেন অতীব জরুরি ফৌজদারি মোশনসহ তৎসংক্রান্ত আবেদন।বিচারপতি মুহম্মাদ খুরশীদ আলম সরকার শুনবেন সাকসেশন, ইচ্ছাপত্রসহ এ জাতীয় মামলা।
নিম্ন আদালতে চলবে যেসব বিচারিক কাজ
করোনা পরিস্থিতিতে ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সব অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জেলা-মহানগরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কোনো শিশুকে এই সময়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত থাকা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করা যাবে।
দি নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যাক্টস, ১৮৮১-সহ যেসব আইনে মামলা/আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত আছে, সেসব আইনের অধীনে মামলা/আপিল শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাত দিনের মধ্যে তামাদির মেয়াদ অক্ষুণ্ণ গণ্যে দায়ের করা যাবে।এই সময়ে বিচার বিভাগের দায়িত্বরত বিচারক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আদালত এলাকা ত্যাগ না করতে বলা হয়েছে। এদিকে আইনজীবী বিচারপ্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে বারণ করা হয়েছে।