শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলাচল করার অভিযোগে রাজধানীর ৩৩টি থানা এলাকা থেকে ৩ হাজার ৬৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাদেরকে নেয়া হচ্ছে আদালতের গারদখানায়। সেখানে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। এ বিষয়টি নজরে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রর প্রধান আইন কর্তকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলকে খোঁজ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। বুধবার এক আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন।
এ বিষয়ে শুনানির সময় আটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, আপনি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে কথা বলুন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আকটকৃতদের আদালতে হাজিরা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর আগে আইনজীবী আসাদ উদ্দিন আদালতে বলেন, লকডাউনে বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর ৩৩টি থানা থেকে গ্রেপ্তার করে সবাইকে একযোগে আদালতের কয়েদখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গারদখানায় ছয়শ/সাতশ লোক একসঙ্গে ভিড় করছেন। সেখানে কোর্ট কাস্টডিতে একজনের সঙ্গে একজন লেগে, একজনের নিশ্বাসের সঙ্গে আরেকজনের নিশ্বাস মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। একইভাবে তাদের সঙ্গে দেখা ও কথা বলার জন্য গারদখানার সামনে ভিড় করছেন স্বজনরা। তিনি বলেন, যে অবস্থা সেখানে দেখা গেছে, কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করতে চাই, যাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের স্ব স্ব থানায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রডিউস করা হোক।
আদালত বিষয়টি শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ আদেশ দেন। আইনজীবী আসাদ উদ্দিন জানান, বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে এখন পর্যন্ত ৩০৬৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুযায়ী তাদেরকে আকট করে গারদখানা ও আদালতে তোলা হচ্ছে। এতে করোনা পরিস্থিতি অরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।