1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কুলাউড়ায় মদের পাট্টা গুড়িয়ে দিল এলাকাবাসীসহ ছাত্র জনতা

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৪১ বার পঠিত

কুলাউড়া প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল চা-বাগানে অবস্থিত সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজকুমার কালোয়ার রাজুর মালিকানাধীন মদের পাট্টা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বরমচাল চা বাগানের ছাত্র-ছাত্রী, বরমচাল ছাত্র সমাজ ও সচেতন মহলের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী করা হয়। পরে কর্মসূচীতে বাঁধা দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল দিয়ে মদের পাট্টাটি ভেঙ্গে দেয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজন বলেন, এই মদের পাট্টার কারণে বাগানের চা শ্রমিক ছাড়াও বরমচাল ইউনিয়নসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরাও এসব মদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এলাকার যুবসমাজকে মাদকের করালগ্রাস থেকে রক্ষা করতে এবং সুস্থ রাখতে হলে আগামী ২৪ ঘন্টার ভিতরে রাজু কালোয়ারকে তার মদের পাট্টার জন্য নির্মিত ঘর ভেঙে চলে যাওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দেয়া হয়। তা না হলে শত শত ছাত্র জনতা ও ঐক্যবদ্ধ বরমচালবাসী মিলে কঠোর আন্দোলন করার হুশিয়ারী দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে বরমচাল চা-বাগানে রয়েছে সরকারি অনুমোদিত একটি বাংলা মদের দোকান। আর সেই মদের দোকানের মালিক হলেন উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের লংলা চা-বাগানের বাসিন্দা রাজকুমার কালোয়ার রাজু। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর এই মদের দোকানে প্রতিদিন শত শত লিটার মদ বিক্রি হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে মদপান করার জন্য অনেক লোক এসে জড়ো হয় এখানে। মদের বিশ্রী দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ আশেপাশের বসবাসকারী সাধারণ মানুষ। মদের পাট্টার কারণে আসক্ত হচ্ছে ১২- ১৮ বছরের কিশোররা। এছাড়া বাগানের বেশিরভাগ ঘরে অবৈধভাবে চোলাই মদ বিক্রি হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোন ধরনের তদারকি নেই এখানে।

বরমচাল চা-বাগানে অবস্থিত মদের পাট্টার মালিক রাজকুমার কালোয়ার রাজু বলেন, সরকারিভাবে লাইসেন্স নিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে নিয়ম মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছি। বাগান ও বস্তির কয়েকজন লোক বিভিন্ন সময় আমার কাছে চাঁদা দাবি করেছিল। আমি সেই চাঁদার টাকা না দেওয়ায় প্রতিহিংসাবশত স্থানীয় কিছু লোক ছাত্রদের উসলিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে। শিক্ষার্থীদের কখনো দোষারুপ করবো না, তারা কখনো আইন নিজের হাতে তুলে নেবেনা। ছাত্রবেশে কিছু লোক, বহিরাগত ও এলাকার লোকজন মিলে এই কাজটি করেছে। তিনি আরো বলেন, বাগানের প্রায় ১৫০-২০০ ঘরে অবৈধভাবে চোলাই মদ বিক্রি হচ্ছে।

বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খান সুইট বলেন, যতটুকু জানি সরকারি লাইসেন্স নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে রাজু কালোয়ার মদের পাট্টায় ব্যবসা করে আসছেন। এলাকাবাসী ও ছাত্রসমাজ সেটি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। পরে শুনেছি তারা পদের পাট্টা ভেঙ্গে দিয়েছে।

মৌলভীবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান শরীফের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..