ডেস্ক রিপোর্ট : গত বুধবার সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনের ঘটনার পর প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রটিতে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা সাময়িক বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত চলমান থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারের বিষয়ে সিদ্ধান্তটি সাময়িক। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করে দ্রুত এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ সিদ্ধান্ত সাময়িক বলে জানিয়েছেন।

নিরাপত্তার কথা ভেবেই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞানিরাপত্তার কথা ভেবেই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আজাদ মজুমদার বলেন, ’কিছু লোক সরকারকে কঠোর হতে বলে আবার সামান্যতম কঠোর হলে গেল গেল রব তোলে। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া জরুরি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা নিয়ে যথারীতি এই দ্বিচারিতা আবার শুরু হয়েছে।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় এখানে পরিষ্কার করা দরকার, কোনো সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাতিল করা হয়নি। কেবল সচিবালয়ের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। তা-ও খুবই অল্প সময়ের জন্য। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী পাশ ইস্যু করা হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিগগিরই বিদ্যমান সব প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডই পর্যালোচনা করা হবে এবং নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য সমস্ত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে আবেদন চাওয়া হবে।‘

উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘এটা এখন ওপেন সিক্রেট, বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো। সরকারের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তে দালাল ছাড়া কারো শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি, এটা সাংবাদিকদের কাজ আরো সহজ করবে। এখন সাময়িক অসুবিধা হলেও চূড়ান্ত বিচারে এটা সবাইকে সহযোগিতা করবে। এজন্যই সবার সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।‘

চার বছর আগেই করা হয়েছিল সতর্ক, তারপরও নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপচার বছর আগেই করা হয়েছিল সতর্ক, তারপরও নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রের একটা বিপর্যয় হয়েছে এটা মানতে কারো দ্বিধা থাকার কথা নয়। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, সেনাবাহিনীর বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ দিয়ে একসাথে কোনো ঘটনার তদন্ত করা হয়নি।‘

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী বলেই এই ধরনের কমিটি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের দূরে রেখে তদন্ত কাজ চালানো হবে বলে যারা আবোল তাবোল বকছেন এরা মারাত্মক ভুলে আছেন। আমাদের বিশ্বাস, সাংবাদিকরাও বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে সহযোগতিা করবেন।‘