1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা, ফের আঁকলেন শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মধ্যরাতে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা এসে বাধা দেন।
তারপর তারা আবারও শেখ হাসিনার ব্যঙ্গ গ্রাফিতি এঁকে দেন সেখানে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে সিটি করপোরেশনের লোকজন শেখ হাসিনার ওই ব্যঙ্গ গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা চালান। তারা শেখ হাসিনার গ্রাফিতির মুখের অংশ মুছে ফেলেন। পরে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সেটি পুরোপুরি মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। এরপর শিক্ষার্থীরা পুনরায় সেখানে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি এঁকে দেন।

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ নামক এই গ্রাফিতিতে পুনরায় শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রাফিতি আঁকার কাজটি করেন ছাত্র ইউনিয়নের চারুকলা অনুষদ শাখার সদস্য মৃধা রাইয়ান ও ঋষি। তাদের সঙ্গে ছিলেন রাইয়ান ফেরদৌস ও সর্দার নাদিম মাহমুদ শুভ।

এদিকে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছার চেষ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মেট্রোরেলের পিলার থেকে এই গ্রাফিতিটা গতকাল গভীররাতে মুছে ফেলা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গভীররাতেই অনলাইনে সরব হই আমরা কয়েকজন। ওইটা মোছা হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে কয়েকজন হাসিনার অন্য একটা ক্যারিকেচার আঁকে। কিন্তু কথাটা হলো, ভিন্নটা কেন করা হবে, আগেরটাই লাগবে, হুবহু আগেরটাই এবং ওইটার ওপরও কালি মেখে, রক্তের মত লাল রঙ দিয়ে ডা–ই–নি টাইপ ভাইভই রাখতে হবে, আর ওইটাতে যেভাবে জুতার মালা দেওয়া ছিলো, ওই একইভাবে রাখতে হবে। মানে হুবহু রেস্টোর করতে হবে। ওইটার ভেতর যে মেসেজ ছিলো, নতুনটার ভেতর সেটা নাই। ’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে দেশের জনগণ হাসিনাকে যেভাবে প্রত্যাখ্যান করে উৎখাত করেছিলো, সেটার অটো রিপ্রেজেনটেশন ছিলো ওইটাতে। আর হুটহাট করে যারা এইটা মোছার প্ল্যান করেছিলো বা যাদের মাথা দিয়ে এই প্ল্যান বের হয়েছিলো, তাদের প্রত্যেককে আইডেন্টিফাই করে কঠোর জবাবদিহিতার ভেতর নিয়ে আসা উচিৎ। ’

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমাদের ক্যাম্পাসে যখন বিভিন্ন সংগঠন বা দল বা শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রোগ্রাম করে। সেগুলোর ছবি ও বিস্তারিত সংগ্রহ করে এনএসআই উর্ধ্বতন পর্যায়ে পাঠায়। সেখানে এই ছবিগুলোর মধ্যে দেখা যায় যে, ঢাবিতে এখনো শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়ে গিয়েছে। কিন্তু এগুলো যে প্রতিবাদের স্মৃতি হিসেবে এখানে রয়েছে এটা বোঝা যায়নি। সেজন্য এগুলো মুছতে বলা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা এখানে যেভাবে চাইবেই সেভাবেই গ্রাফিতি থাকবে। আমরা অতি দ্রুত এই দুটি মেট্রোর পিলারকে ফ্যাসিবাদ ঘৃণা স্তম্ভ ঘোষণা করে দেব।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..