রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ফিরে আসা প্রসঙ্গে আরাঘচি বলেছেন, ইরান-আমেরিকার সম্পর্কের ইতিহাস ‘শত্রুতা এবং অবিশ্বাসে পূর্ণ’। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গত ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গেছে এবং ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করেছে।
ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে কোনো হামলা হলে তা সর্বাত্মক যুদ্ধকে উসকে দেবে বলে সতর্ক করেছে দেশটি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে যে কোনো হামলা অঞ্চলটিকে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে ঠেলে দেবে।
কাতার সফরকালে আল জাজিরা আরবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাঘচি আরো সতর্ক করেছেন যে, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সামরিক হামলা চালানো হবে যুক্তরাষ্ট্রের করা সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক ভুলগুলোর অন্যতম। ইরান যে কোনো হামলার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ও শক্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং এ ধরনের ঘটনা অঞ্চলটিকে সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ার করেন আরাঘচি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোয় হামলা করার ক্ষমতা দিতে পারেন বলে উদ্বেগ বেড়েছে তেহরানের। আরাঘচি বলেছেন, তিনি দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানির সঙ্গে প্রধান প্রধান আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ফিরে আসা প্রসঙ্গে আরাঘচি বলেছেন, ইরান-আমেরিকার সম্পর্কের ইতিহাস ‘শত্রুতা এবং অবিশ্বাসে পূর্ণ’। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গত ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গেছে এবং ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করেছে।
তিনি নতুন ট্রাম্প প্রশাসনকে আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যেমন জব্দকৃত ইরানের তহবিল ফেরত দেয়া। পাশপাশি আরাঘচি বলেছেন যে, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে যেতে আপত্তি করবে না। তবে আলোচনাগুলো কেবল পরমাণু ইস্যুতে সীমাবদ্ধ রাখতে জোর দেয় তেহরান।