রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কুদালিছড়া-ডুপাবিল খাল উন্নয়ন কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর বাস্তবায়নে ছড়ার খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সারাদেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কমলগঞ্জ এর মাধ্যমে ৩৩ লাক্ষ ৩১ হাজার ১৮১ টাকা ব্যয়ে কুদালিছড়া-ডুপাবিল খাল উন্নয়ন কাজ শুরু হয় গত ডিসেম্বর মাসে। প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করে মেসার্স ছামী ট্রেডার্স নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। খনন কাজের এলাকায় সাইনবোর্ড টানানোর কথা থাকলেও কোন ধরনের সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। ঠিকাদারের প্রতিনিধি কোন ধরনের নিয়মনীতি না মেনে ১২৫৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও বটন ২.৫ মিটার প্রস্তের খাল খনন কাজটি মনগড়া চালিয়ে যায়। কুদালি ছড়ার উপর নির্মিত কালভার্ট ব্রিজের মাটি সরে নেয়ায় ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছে। নকশা মোতাবেক ব্রিজের দুইপাশে খালে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হয়ে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খননের মাটি সমুহ খালের পাড়ে রাখলেও অনেক স্থানে মাটি ধ্বসে পড়েছে। খননকৃত খালের নিচে ৩ থেকে সাড়ে ৩ফুট চওড়া রয়েছে। এছাড়া ১০ থেকে ১২ ফুট গভীর ও উপরের চওড়া ২০ থেকে ২৫ ফুটের বেশি হবে না। সরকারি খাল খননের যে উদ্দেশ্যে বরাদ্ধ হয়েছে সে অনুযায়ী খনন হয়নি। সঠিকভাবে খাল খনন না হলে চাষাবাদের মৌসুমে পলিমাটি নেমে ভরাট হয়ে যাবে এবং সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা এলাকাবাসীর কোন উপকারে আসবে না।
গ্রামের মবশ্বির আলী, আব্দুল মোমিন, আব্দুল গফুর, আব্দুল কাদির বলেন, আমাদের স্থানীয়দের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে খাল খনন হলেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া খালের দু’পাশে রোপিত গাছগুলোও মরে গেছে। বনবিষ্ণুপুর, রূপষপুর, রাসেশ্বরপুর, পালজোয়ান সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ অল্প বৃষ্টি হলেই পানিবন্দী হয়ে পড়েন। তাই খাল খননের মাধ্যমে পানি নিস্কাশনের যে ব্যবস্থা সেটি কোন কাজে আসবে না। সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে এলাকার কৃষকদের স্বার্থে সুষ্ঠুভাবে কুদালিছড়া-ডুপাবিল খাল উন্নয়ন কাজের দাবি জানান।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স ছামী ট্রেডার্স এর স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুস শহীদ জানান, সিডিউল মোতাবেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। যারা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের অভিযোগ সঠিক নয়।
এব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল আজম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।