বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
জুড়ী প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সানাবিল ফাউন্ডেশন কর্তৃক সানাবিল লাইব্রেরী ও এডুকেশন সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা চত্বরে সানাবিল লাইব্রেরী ও এডুকেশন সেন্টারের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জুড়ী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সানাবিল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. তাজুল ইসলাম তারা মিয়া।
জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমনের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর, হাজী আপ্তাব উদ্দিন আমিনা খাতুন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু, জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া, জুড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার, তৈমুছ আলী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, জুড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, জুড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জিএম বদরুল ইসলাম, মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ঝুলন রানী দেব, সহকারী শিক্ষক অনুরাধা দে, সিনিয়র সাংবাদিক বদরুল ইসলাম, জুড়ী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি ইমরানুল ইসলাম, জুড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও মাইটিভি প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আফজাল হোসেন, সমাজসেবক রেজান আলী, হাজী মোঃ আছদ্দর আলী, অহিদ মিয়া, ফয়ছল আহমদ, জুড়ী সানাবিল সেন্টারের সুপারভাইজার তাহমিনা আক্তার মিলি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিবৃন্দকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন জুড়ী সানাবিল সেন্টারের সদস্যবৃন্দ। পরে অতিথিবৃন্দ উদ্বোধনী ফিতা কেটে সানাবিল লাইব্রেরী ও এডুকেশন সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী সভা শেষে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন জুড়ী উপজেলা চত্বর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জহিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সর্বসাধারণের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয় বলে লাইব্রেরী বা গ্রন্থাগারকে বলা হয় জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়’। কোনো দেশ বা জাতির উন্নত চিন্তা-চেতনা ও মনন গড়ে তুলতে লাইব্রেরী বা
পাঠাগারের ভূমিকা অতুলনীয়। মানুষের শারীরিক রোগের মুক্তির জন্য যেমন প্রয়োজন হাসপাতালের, তেমনি মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন লাইব্রেরীর। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জ্ঞান সংরক্ষণ ও বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে লাইব্রেরী। যার ফলশ্রুতিতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষের ফলে যুগে যুগে সমাজ ও সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়েছে। জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে মানুষ ক্রমেই সভ্য ও আধুনিক হয়ে গড়ে উঠছে। একটি লাইব্রেরী শুধুমাত্র বই পড়ার জায়গা নয়। এটি জাতির মেধা ও সংস্কৃতির বিকাশের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নেও লাইব্রেরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আজ জুড়ীর মত জায়গায় এবং জুড়ীর প্রাণকেন্দ্রে সানাবিল ফাউন্ডেশন যে মহৎ উদ্যোগ নিয়ে সানাবিল লাইব্রেরী ও এডুকেশন সেন্টারের উদ্বোধন করল তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এত দৃষ্টিনন্দন, আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরী আজ আমরা উপহার পেলাম যা আমরা কল্পনাও করিনি। আমরা মনে করি শিক্ষার মানউন্নয়নের পাশাপাশি জুড়ীর সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নসহ ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে সানাবিল ফাউন্ডেশন আরো কাজ করবেন।