1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমপ্লিট শাটডাউন: রামেক হাসপাতালে প্রথম দিনই দুর্ভোগ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : রাজশাহী: সারাদেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।
পাঁচ দফা দাবিতে আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
আর চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউনের প্রথম দিনই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন রামেক হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, এমবিবিএস বিডিএস ব্যতিত কেউ আর ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না, বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন করতে হবে, এমটিএস ও নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে আজ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরাও।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করলে একাত্মতা ঘোষণা করে এতে তারাও অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচি ছাড়াও বিক্ষোভ মিছিল করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, তাদের ঘোষিত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখা হবে।
কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এটিএম আখেরুজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ডা. ইফতেখার রসুল শিমুলসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা বলছেন ডাক্তাররা তারা তাদের আন্দোলন করবেন উচ্চপর্যায়ে টেবিলে। হাসপাতালে আমরা সাধারণ মানুষ সেবা নিতে এসেছি, সেবা নিতে চাই। এভাবে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করলে হাসপাতালের মতো একটি জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের রোগীরা কোথায় যাবে? চিকিৎসা না পেলে প্রতিনিয়তই রোগী মারা যাবে!
রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডগুলোতে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক নেই। এছাড়া ওয়ার্ডে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না সিনিয়র চিকিৎসকদেরও।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মদ জানিয়েছেন হাসপাতালে ৬০টি ওয়ার্ড রয়েছে। আর ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসার কোনো ব্যাঘাতই ঘটছে না। কারণ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ২৪০ জন। তারা না থাকায় মিড লেভেলের চিকিৎসক ও বেসরকারি অনারারি মেডিকেল কর্মকর্তাদের দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে তেমন সমস্যা হচ্ছে না।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..