বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে বাইজিদ (৪) নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ইটভাটার ঝোপে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারী। আর পুলিশ সেই অপহরণকারী ফেরদৌস আলীকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়। পরে সে হত্যার দায়স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্য মতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুইড়া এলাকায় অবস্থিত সাহাবুদ্দিন হাজীর ইট ভাটার ঝোপের ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
নিহত বাইজিদ আকন ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার শাহানাজের বাড়ীর ভাড়াটিয়া সাইফুল আকনের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী ফেরদৌস আলী কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার খাকশ্রী থানার মানিক মিয়ার ছেলে।
নেত্রকোনায় মামুন হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত শিশু ও ঘাতক ফেরদৌস একই ভাড়া বাড়ীতে পাশাপাশি রুমে বসবাস করতো। সোমবার সন্ধ্যার দিকে চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে ফেরদৌস বাসা থেকে বের হয়। পরে রাত বারোটার দিকে শিশুর বাবাকে ফেরদৌস ফোন করে জানায় বাইজিদকে জীবিত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। দাবীকৃত টাকা না দিলে শিশু বাইজিদকে হত্যা করার হুমকি দেয়। তখন টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় ফেরদৌস মোবাইল বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিহতের বাবা ফতুল্লা মডেল থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।
ওসি আরো জানান, শিশুর বাবার দায়েরকৃত জিডির সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাত ৭ টার দিকে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ফেরদৌসকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ফতুল্লার দাপাইদ্রাকপুর একটি ইটভাটার ঝোপ থেকে শিশুর লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের গলায় দড়ি পেঁচানো ছিল। ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। ফেরদৌসের সাথে আর কে কে জড়িত রয়েছে তা বের করতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।