1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

এক যুগ পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ভারতের

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
  • ১৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা খোয়াতে হয়েছিল ভারতকে। রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে সেবার শিরোপা হাতছাড়া হলেও একদিনের ক্রিকেটের আইসিসি টুর্নামেন্টে এবার ঠিকই সফল ভারত।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে আজ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে রোহিতের দল। এই জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টানা দ্বিতীয় আইসিসি শিরোপা ঘরে তুললো ভারত। কিউইদের দেওয়া ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ব্যাট হাতে দাপুটে সূচনা এনে দিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত।
তিনি খেলেছেন ৮৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়্যারের ৪৮ ও শেষদিকে লোকেশ রাহুলের ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে ৪৯ ওভারে ৪ উইকেটের জয়ের দেখা পায় ভারত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টিসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। এরপর ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরুই এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। তবে বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
পরে ডেরিল মিচেলের ৬৩ ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৫৩ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ভারত।
২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে কিউই বোলারদের বিপক্ষে আজ শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলছেন রোহিত। গিল রক্ষণাত্মক খেললেও চার-ছয়ের পসরা সাজিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক।
কিউই বোলারদের বিপক্ষে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলে আজ ৪১ বলে ফিফটির দেখা পান রোহিত। প্রথম পাওয়ার প্লে তে গিলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি স্কোরবোর্ডে তুলেন ৬৪ রান। এ দুজনের জুটিতেই দলীয় ১০০ রানের সংগ্রহ পার করে ভারত। তবে ১০৫ রানে মিচেল স্যান্টনারের বলে গ্লেন ফিলিপ্সের বিস্ময়কর এক ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরতে হয় গিলকে। ফেরার আগে তিনি ৫০ বলে করেন ৩১ রান।
এদিকে গিল ফেরার পর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন কোহলি। তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আজ দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। রানের খাতা খুললেও দুই অঙ্কের দেখা পাননি তিনি। ২ বলে ১ রান করে কোহলি সাজঘরে ফিরেছেন ব্রেসওয়েলের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে। এরপর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়্যার। তবে আইয়্যারের সঙ্গে আর বড় জুটি গড়তে পারেননি রোহিত। এ জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ হতেই ফিরতে হয় রোহিতকে।
রাচীন রবীন্দ্রর বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হন রোহিত। দলীয় ১২২ রানে রোহিত সাজঘরে ফেরার পর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আইয়্যার। ফর্মে থাকা আইয়্যার আজও দলকে চাপমুক্ত করেন। অক্ষরকে নিয়ে তিনি গড়েছিলেন ৬১ রানের জুটি, ছিলেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পথে। তবে জীবন পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি, আউট হন ৪৮ রান করে। আইয়্যার ফেরার পর অক্ষরও আউট হন ৪০ বলে ২৯ রান করে।
দলীয় ২০৩ রান অক্ষর ভারতের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ফেরার পর ক্রিজে রাহুলের সঙ্গী হন হার্দিক পান্ডিয়া। রাহুল-পান্ডিয়া মিলে গড়েছিলেন ৩৮ রানের জুটি। ১৮ বলে ১৮ রান করে পান্ডিয়া আউট হলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাহুল।
এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে আজ শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই খেলেছেন রবীন্দ্র। ইয়াংকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তিনি স্কোরবোর্ডে তুলেছিলেন ৫৭ রান। এরপর বরুণের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হন ইয়াং। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে ১৫ রান করেছেন ইয়াং।
ইয়াং ফেরার পর ক্রিজে রবীন্দ্রর সঙ্গী হন কেইন উইলিয়ামসন। সেমিফাইনালে এ দুজন মিলে বড় জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেও আজ আর তা হয়নি। বরুণের পর কিউইদের ব্যাটিং লাইন আপে জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ।
দলীয় ৬৯ রানে কুলদীপের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন রবীন্দ্র। ফেরার আগে তিনি ২৯ বলে করেছেন ৩৭ রান। এরপর উইলিয়ামসনও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি, বড় ম্যাচে দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়ে কিউইদের সাবেক এই অধিনায়কও সাজঘরে ফিরেন কুলদীপের শিকার হয়েই। ফেরার আগে তিনি ১৪ বলে করেন ১১ রান।

এরপর টম ল্যাথামও আজ হতাশ করেছেন দলকে। ৩০ বলে ১৪ রান করে তিনি আউট হন দলীয় ১০৮ রানে। ল্যাথাম ফেরার পর গ্লেন ফিলিপ্সকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মিচেল। এ দুজন মিলে গড়েছিলেন ৫৭ রানের জুটি। তবে ৫২ বলে ৩৪ রান করে ফিলিপ্স বরুণের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ফিলিপ্স ফেরার পর ব্রেসওয়েলের সঙ্গেও ৪৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মিচেল।
দলকে পথ দেখানোর পথে তিনি খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস। ১০১ বলে ৬৩ রান করে তিনি আউট হন মোহাম্মদ শামির বলে। এদিকে নিউজিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ ২৫১ হয় শেষদিকে ব্রেসওয়েলের খেলা ৪০ বলে ৫৩ রানের ইনিংসের সুবাদে। তার এই ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..